Location via proxy:   [ UP ]  
[Report a bug]   [Manage cookies]                
বিষয়বস্তুতে চলুন

লোমহর্ষক কল্পকাহিনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ভৌতিক সাহিত্য থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গুস্তাভ ডোরে দ্বারা পো'র "দ্য রেভেন"-এর একটি চিত্র

লোমহর্ষক কল্পকাহিনী (বা হরর ফিকশন) কল্পসাহিত্যের একটি শাখা যেখানে পাঠক বা দর্শকে ভয় পাওয়ানোই হয় প্রধান লক্ষ্য। ঐতিহাসিকভাবে এই ভয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অতিলৌকিক কল্পনা থেকে সঞ্জাত। ১৯৬০-এর দশক থেকে যেকোনো অস্বাভাবিক, বীভৎস, পরাবাস্তব, অথবা বিশেষভাবে রহস্যময় বা ভীতিপ্রদ বিষয়ভিত্তিক সৃষ্টিকর্মই হরর নামে আখ্যাত হয়ে আসছে। লোমহর্ষক কল্পকাহিনী প্রায়শই কল্পবিজ্ঞানফ্যান্টাসির সঙ্গে পরস্পর সম্পৃক্ত আকারে লক্ষিত হয়; বর্তমানে তাই এই তিন ধারাকে একত্রে কল্পসাহিত্য ধারার ছত্রতলে আনা হয়েছে।

ভূতগ্রস্থতাকে (haunting) ভৌতিক ও অস্বভাবী সাহিত্যে মূল কাহিনিকাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হানাবাড়ির কিংবদন্তি তো সাহিত্যের একটি পুরনো থিম। উদাহরণস্বরূপ, the আরব্যরজনীর "কাইরেন আলি ও বাগদাদের হানাবাড়ি" গল্পে দেখা যায় জিন পরিপূর্ণ এক হানাবাড়ি।[] আরব্যরজনীর এই প্রভাব আধুনিক ভৌতিক সাহিত্যেও লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত এইচ পি লাভক্র্যাফট রচিত গ্রন্থাবলিতে।[]

ভীতিপ্রদ সাহিত্যে উৎকর্ষের জন্য একাধিক পুরস্কারও দেওয়া হয়। দ্য হরর রাইটারস অ্যাসোসিয়েশন এই ধারায় শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য ব্রাম স্টকার অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এই পুরস্কার দেওয়া হয় বিশিষ্ট ড্রাকুলা-র লেখক তথা বিশিষ্ট ভৌতিক কাহিনিকার ব্রাম স্টকারের নামাঙ্কিত।[]

আজ ভৌতিক সাহিত্য চলচ্চিত্রেরও অন্যতম জনপ্রিয় ধারা।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Yuriko Yamanaka, Tetsuo Nishio (২০০৬), The Arabian Nights and Orientalism: Perspectives from East & West, I.B. Tauris, পৃষ্ঠা 83, আইএসবিএন 1850437688 
  2. Irwin, Robert (২০০৩), The Arabian Nights: A Companion, Tauris Parke Paperbacks, পৃষ্ঠা 290, আইএসবিএন 1860649831 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০০৯ 
  4. Chad Austin। "Horror Films Still Scaring – and Delighting – Audiences"। North Carolina State University News। ২০০৭-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০১-১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]