ভূতাত্ত্বিক সময়
ভূতাত্ত্বিক সময় বলতে পৃথিবীর উৎপত্তি থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত পুরো সময়কে বোঝায়। ভূতাত্ত্বিক সময় বা ভূতাত্ত্বিক সময়সীমা (টাইম স্কেল) ব্যবহার করে ভূবিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সংঘটিত সকল ঘটনা এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের গবেষণা করে থাকেন। বিজ্ঞানীরা এই সময়কে বিভিন্ন সীমায় বিভক্ত করেছেন এবং প্রতিটি সীমার পৃথক পৃথক নাম দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন যুগান্তকারী ঘটনার মাধ্যমে এই সীমাগুলো নির্ণয় করা হয়েছে। এই নিবন্ধে ভূতাত্ত্বিক সময়ের যে সীমা ছক দেয়া হয়েছে তার সবগুলো নাম ও তারিখ ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন স্ট্র্যাটিগ্রাফি কর্তৃক প্রস্তাবিত নামকরণ ব্যবস্থা অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে।
তেজস্ক্রিয়মিতি অনুযায়ী বয়স পরীক্ষা করে দেখা গেছে, পৃথিবীর বয়স আনুমানিক ৪৫৭ কোটি বছর। আগেই বলা হয়েছে, সীমা নির্ধারণ করেছে বিভিন্ন যুগান্তকারী ভূতাত্ত্বিক ও জীবাশ্মবিদ্যাগত ঘটনা। এ ধরনের ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গণ বিলুপ্তি। উদাহরণস্বরূপ, ক্রিটেশিয়াস যুগ এবং প্যালিওজিন যুগের সীমা নির্ধারণ করেছে একটি বিলুপ্তি ঘটনা যার নাম ক্রিটেশিয়াস-টার্শিয়ারি বিলুপ্তি ঘটনা। এই বিলুপ্তি ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যায়। অতীতে যেতে যেতে যে সময়ের আর কোন নির্ভরযোগ্য জীবাশ্ম রেকর্ড পাওয়া যায় না সে যুগের সীমা নির্ধারণ করা হয় পরম যুগের নীতি অবলম্বন করে।
পরিভাষা
[সম্পাদনা]ভূতাত্ত্বিক সময়কে সামগ্রিকভাবে বলা যায় মহাকাল। মহাকালের প্রাথমিক বিভাজন হল মহাকল্প (supereon), এটিকে আবার পর্যায়ক্রমে কল্প (eon), মহাপর্যায় (era), পর্যায় (period), মহাযুগ (epoch) এবং শেষ পর্যন্ত যুগ (age) নামক এককে বিভক্ত করা হয়েছে।
চিত্রলৈখিক কালপঞ্জি
[সম্পাদনা]প্রথম ও দ্বিতীয় কালপঞ্জি দুটি প্রথমটিরই শাখা। অ্যাসটেরিক্স চিহ্ন দ্বারা তা-ই বোঝানো হয়েছে।
হলোসিন যুগটি এতো কম সময়ের যে এই কালপঞ্জিতে দেখানো সম্ভব নয়।
পরিবর্ধিত চিত্রায়ন
[সম্পাদনা]মহাকল্প | কল্প | মহাপর্যায় | পর্যায়[১] | মহাযুগ | যুগ[২] | গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি | কত কোটি বছর আগে আরম্ভ[২] |
---|---|---|---|---|---|---|---|
অনির্দিষ্ট[৩] | ফ্যানারোজোয়িক | সিনোজোয়িক[৪] | কোয়াটার্নারি | হলোসিন |
ক্রনসমূহ: সাবআটলান্টিক · সাববোরিয়াল · আটলান্টিক · বোরিয়াল · প্রাক্-বোরিয়াল |
কোয়াটার্নারি তুষারযুগের পশ্চাদপসরণ এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী হিমযুগের সূচনা; মানব সভ্যতার বিকাশ। সাভানা তৃণভূমি থেকে সাহারা মরুভূমির উৎপত্তি এবং কৃষিকাজের আবিষ্কার। প্রস্তর যুগ শেষ হয়ে ব্রোঞ্জ যুগ (৩৩০০ খ্রিঃ পূঃ) এবং লৌহ যুগের (১২০০ খ্রিঃ পূঃ) আরম্ভ। ফলস্বরূপ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতির বিকাশ। উত্তর গোলার্ধে ১৪০০ থেকে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে স্বল্পস্থায়ী শীতলীভবন। শিল্পবিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় CO2 এর মাত্রা ২৮০ পার্টস পার মিলিয়ন (ppmv) থেকে বর্তমান ৪০০ ppmv তে এসে দাঁড়ায়[৫][৬][৭] | ০.০০১১৭ (১১ হাজার ৭০০)[৮] |
প্লাইস্টোসিন | অন্ত্য (স্থানীয়ভাবে ট্যারানশিয়ান · টিরেনিয়ান · ঈমিয়ান · সাংগামোনিয়ান) | অনেক বিরাট স্তন্যপায়ীর (প্লাইস্টোসিন মহাপ্রাণী) বিস্তার ও বিলুপ্তি। শারীরস্থানিকভাবে আধুনিক মানুষের বিবর্তন। সাম্প্রতিকতম তুষার যুগ সক্রিয়; ফলস্বরূপ পৃথিবীব্যাপী হিমবাহসমূহের নিয়মিত বিস্তার ও পশ্চাদপসরণ এবং সেইসঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় CO2 এর ১০০ থেকে ৩০০ ppmv মাত্রার মধ্যে ওঠানামা[৬][৭], ক্রমবর্ধমান শীতলীভবন, আনুমানিক ১৬ লক্ষ বছর আগে। অন্তিম হিমবাহ চরম মাত্রা (৩০,০০০ বছর আগে), অন্তিম হিমযুগ (১৮,০০০–১৫,০০০ বছর আগে)। প্রস্তর যুগের সূচনা, পূর্ববর্তী হিমযুগ অপেক্ষা অধিকতর প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং কারুশিল্প ও মাটির মূর্তি নির্মাণ (যেমনː লেসপুগের ভেনাস), বিশেষত ভূমধ্যসাগরীয় ও ইউরোপ থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য নিদর্শন। ৭৫,০০০ বছর আগে টোবা হ্রদ মহাগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং তার ফলে সৃষ্ট আগ্নেয় শীতকালে মানবজাতির বিপর্যয়। প্রাচীনতম ড্রায়াস, প্রাচীনতর ড্রায়াস এবং নব্য ড্রায়াস ঘটনাবলীর মাধ্যমে প্লাইস্টোসিনের সমাপ্তি; নব্য ড্রায়াসকে প্লাইস্টোসিন ও হলোসিনের সীমারেখা বিবেচনা করা হয়। | ০.০১২৬ (১ লক্ষ ২৬ হাজার) | ||||
মধ্য (ভূতপূর্ব আয়োনিয়ান) | ০.০৭৮১ (৭ লক্ষ ৮১ হাজার) | ||||||
আদিম | ০.১৮০৬* (১৮ লক্ষ ৬ হাজার) | ||||||
জেলাশিয়ান | ০.২৫৮৮* (২৫ লক্ষ ৮৮ হাজার) | ||||||
নিওজিন | প্লাইওসিন | পিয়াকেঞ্জিয়ান/ব্ল্যাংকান | পৃথিবীব্যাপী শীতলীভবন, সাম্প্রতিকতম তুষার যুগের সূত্রপাত প্রায় ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার বছর আগে; শুষ্ক ও শীতল জলবায়ু। অস্ট্রালোপিথেসিন, আধুনিক স্তন্যপায়ীদের অনেক গণ এবং আধুনিক কম্বোজ-দের আবির্ভাব। হোমো হ্যাবিলিস-এর আবির্ভাব। | ০.৩৬* (৩৬ লক্ষ) | |||
জ্যাংক্লিয়ান | ০.৫৩৩৩* (৫৩ লক্ষ ৩৩ হাজার) | ||||||
মায়োসিন | মেসিনিয়ান | নাতিশীতোষ্ণ শীতল জলবায়ু, খেপে খেপে তুষার যুগ; উত্তর গোলার্ধে একাধিক গিরিজনি। আধুনিক স্তন্যপায়ী এবং পাখি-দের পরিবারগুলো আজকের চেহারার কাছাকাছি আসে। ঘোড়া এবং ম্যাস্টোডনরা নানা শাখায় বিভাজিত হয়। ঘাসেদের ব্যাপক বিস্তার। প্রথম নরবানর (বিশদ জানতে দেখুন: "সাহেলান্থ্রোপাস চাদেনসিস")। নিউজিল্যান্ডে কাইকুরা গিরিজনির ফলে দক্ষিণ আল্পস পর্বতমালার গঠন শুরু যা আজও অব্যাহত। ইউরোপে আল্পসের গিরিজনি মন্থর হয়, কিন্তু আজও ক্রিয়াশীল আছে। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে কার্পেথিয়ান গিরিজনির ফলে কার্পেথিয়ান পর্বতমালার উদ্ভব। গ্রিস ও ঈজিয়ান সাগরে হেলেনিক গিরিজনি মন্থর হলেও আজও ক্রিয়াশীল আছে। মধ্য মায়োসিন বিশৃঙ্খলতা। বিস্তীর্ণ বনভূমি বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচুর পরিমাণে CO2 শুষে নেয় এবং বাতাসে ঐ গ্যাসের পরিমাণ ৬৫০ ppmv থেকে কমে দাঁড়ায় ১০০ ppmv[৬][৭]। | ০.৭২৪৬* (৭২ লক্ষ ৪৬ হাজার) | ||||
টর্টোনিয়ান | ১.১৬২* | ||||||
সেরাভালিয়ান | ১.৩৮২* | ||||||
লাংগিয়ান | ১.৫৯৭ | ||||||
বার্দিগালিয়ান | ২.০৪৪ | ||||||
আকুইতানিয়ান | ২.৩০৩* | ||||||
প্যালিওজিন | অলিগোসিন | চ্যাটিয়ান | ঈষদুষ্ণ থেকে ক্রমশ শীতল জলবায়ু; প্রাণীকুল, বিশেষত স্তন্যপায়ীদের দ্রুত বিবর্তন ও নানা শাখায় বিভাজন। সপুষ্পক উদ্ভিদের আধুনিক অনেক প্রজাতির বিবর্তন ও বিভাজন। | ২.৮১ | |||
রুপেলিয়ান | ৩.৩৯* | ||||||
ইওসিন | প্রায়াবোনিয়ান | নাতিশীতোষ্ণ, ক্রমশ শীতল জলবায়ু। প্রাচীন স্তন্যপায়ীরা (যেমন ক্রিয়োডন্ট, কন্ডিলার্থ, উইন্টাথেরেস প্রভৃতি) সমগ্র উপযুগ ধরে বিবর্তিত হয়। একাধিক "আধুনিক" স্তন্যপায়ী পরিবারের উদ্ভব। প্রাথমিক তিমিদের নানা শাখায় বিভাজন। প্রথম ঘাস। পুনরায় অ্যান্টার্কটিকায় হিমবাহের প্রাবল্য এবং তুষারাবরণের সৃষ্টি। অ্যাজোলা ঘটনার ফলে তুষার যুগের সূত্রপাত, যা আজ অবধি পৃথিবীর জলবায়ুকে অপেক্ষাকৃত শীতল রেখেছে এবং বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অতি দ্রুত হ্রাসের (৩৮০০ ppmv থেকে ৬৫ ppmv) ফলে যা সম্ভব হয়েছিল[৬][৭]। উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতমালার ল্যারামাইড গিরিজনি ও সেভিয়ার গিরিজনির সমাপ্তি। ইউরোপে আল্পস পর্বতমালার গিরিজনির সক্রিয়তা। গ্রিস ও ঈজিয়ান সাগরে হেলেনিক গিরিজনির সূত্রপাত। | ৩.৮ | ||||
বার্তোনিয়ান | ৪.১৩ | ||||||
লুতেশিয়ান | ৪.৭৮* | ||||||
য়িপ্রেশিয়ান | ৫.৬* | ||||||
প্যালিওসিন | থ্যানেশিয়ান | প্রধানত ক্রান্তীয় জলবায়ু। আধুনিক উদ্ভিদদের আবির্ভাব। ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পর স্তন্যপায়ীদের বিভিন্ন প্রাথমিক শাখায় বিভাজন। প্রথম বৃহৎ স্তন্যপায়ী (ভালুক থেকে ছোট জলহস্তীর আয়তনবিশিষ্ট)। ইউরোপ ও এশিয়ায় আলপাইন গিরিজনির সূত্রপাত। ৫.৫ কোটি বছর আগে এশিয়ার সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের সংঘর্ষ, ৫.২ থেকে ৪.৮ কোটি বছর আগে হিমালয় গিরিজনির সূত্রপাত। | ৫.৯২* | ||||
সেলান্ডিয়ান | ৬.১৬* | ||||||
দানিয়ান | ৬.৬* | ||||||
মেসোজোয়িক | ক্রিটেশিয়াস | অন্ত্য | মাস্ট্রিক্টিয়ান | সপুষ্পক উদ্ভিদ ও বহু প্রকার পতঙ্গের বাড়বাড়ন্ত। আরও বেশি সংখ্যায় আধুনিক টেলিয়স্ট মাছের আবির্ভাব। প্রচুর সংখ্যায় অ্যামোনয়ডিয়া, বেলেম্নয়ডিয়া, রুডিস্ট ঝিনুক, একাইনয়ডিয়া এবং স্পঞ্জ। অনেক নতুন ডাইনোসর (যেমন টির্যানোসর, টাইটানোসর, হ্যাড্রোসর এবং শিংওয়ালা ডাইনোসর)। আধুনিক কুমিরদের গোষ্ঠী ইউসুকিয়ার উদ্ভব। সমুদ্রে মোসাসর ও আধুনিক হাঙরের আবির্ভাব। আকাশের রাজত্ব ধীরে ধীরে টেরোসর থেকে আদিম পাখিদের হাতে স্থানান্তর। হংসচঞ্চু, মারসুপিয়াল ও প্ল্যাসেন্টাল স্তন্যপায়ীদের উৎপত্তি। গন্ডোয়ানার ভাঙন। রকি পর্বতমালার ল্যারামাইড গিরিজনি ও সেভিয়ার গিরিজনির সূত্রপাত। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় CO2 এর মাত্রা বর্তমান মাত্রার কাছাকাছি। | ৭.২১ ± ০.০২* | ||
কাম্পানিয়ান | ৮.৩৬ ± ০.০২ | ||||||
সান্তোনিয়ান | ৮.৬৩ ± ০.০৫ | ||||||
কনিয়াকিয়ান | ৮.৯৮ ± ০.০৩ | ||||||
তুরোনিয়ান | ৯.৩৯* | ||||||
সিনোমানিয়ান | ১০.০৫* | ||||||
আদিম | আলবিয়ান | আঃ ১১.৩ | |||||
আতিয়ান | আঃ ১২.৫ | ||||||
ব্যারেমিয়ান | আঃ ১২.৯৪ | ||||||
হতেরিভিয়ান | আঃ ১৩.২৯ | ||||||
ভ্যালাঞ্জিনিয়ান | আঃ ১৩.৯৮ | ||||||
বেরিয়াসিয়ান | আঃ ১৪.৫ | ||||||
জুরাসিক | অন্ত্য | টিথোনিয়ান | ডাঙার উদ্ভিদকুলে ব্যক্তবীজী (প্রধানত কনিফার, বেনেটিটেলিস ও সাইকাড) এবং ফার্ন-দের প্রভাব বৃদ্ধি। নানা প্রকার ডাইনোসর, যেমন সরোপড, কার্নোসর ও স্টেগোসর। স্তন্যপায়ীরা প্রচুর কিন্তু আয়তনে খুদে। প্রথম পাখি ও টিকটিকি। ইকথিওসর ও প্লিসিওসর-দের নানা শাখায় বিভাজন। সমুদ্রে ঝিনুক, অ্যামোনাইট আর বেলেম্নাইটরা প্রভাবশালী। এছাড়া সমুদ্র আর্চিন, ক্রিনয়েড, তারামাছ, স্পঞ্জ এবং টেরেব্রাটুলিডা ও রিঙ্কোনেলিডা জাতীয় ব্র্যাকিওপডরাও সংখ্যায় প্রচুর। প্যাঞ্জিয়া ভেঙে গিয়ে গন্ডোয়ানা ও লরেশিয়ার সৃষ্টি। উত্তর আমেরিকায় নেভাদিয়ান গিরিজনি। রাঙিটাটা এবং সিমেরিয়ান গিরিজনির সমাপ্তি। বায়ুমণ্ডলীয় CO2 এর মাত্রা বর্তমানের ৪–৫ গুণ (১২০০–১৫০০ ppmv, এখন মাত্র ৩৮৫ ppmv[৬][৭])। | ১৫.২১ ± ০.০৯ | |||
কিমেরিজিয়ান | ১৫.৭৩ ± ০.১ | ||||||
অক্সফোর্ডিয়ান | ১৬.৩৫ ± ০.১ | ||||||
মধ্য | ক্যালোভিয়ান | ১৬.৬১ ± ০.১২ | |||||
ব্যাথোনিয়ান | ১৬.৮৩ ± ০.১৩* | ||||||
বায়োকিয়ান | ১৭.০৩ ± ০.১৪* | ||||||
আলেনিয়ান | ১৭.৪১ ± ০.১* | ||||||
আদিম | তোয়ার্কিয়ান | ১৮.২৭ ± ০.০৭ | |||||
প্লায়েন্সবাকিয়ান | ১৯.০৮ ± ০.১* | ||||||
সিনেমুরিয়ান | ১৯.৯৩ ± ০.০৩* | ||||||
হেটাঞ্জিয়ান | ২০.১৩ ± ০.০২* | ||||||
ট্রায়াসিক | অন্ত্য | রেশিয়ান | ডাঙায় আর্কোসরদের জ্ঞাতি ডাইনোসরদের রাজত্ব, সমুদ্রে ইকথিওসর এবং নোথোসর, আকাশে টেরোসরেরা প্রভাবশালী; এরা প্রত্যেকেই আর্কোসর থেকে উদ্ভূত। কাইনোডন্টরা আরও খুদে আর চেহারায় স্তন্যপায়ীদের আরও কাছাকাছি হয়ে ওঠে। প্রথম স্তন্যপায়ী ও ক্রোকোডিলিয়ার উদ্ভব। ডাঙায় ডাইক্রয়ডিয়াম উদ্ভিদের বংশবিস্তার। বহুসংখ্যক বিরাট জলচর টেমনোস্পণ্ডাইল। অ্যামোনাইট-দের বাড়বাড়ন্ত। আধুনিক প্রবাল এবং টেলিয়স্ট মাছেদের বিবর্তন, এবং আধুনিক পোকাদের অনেকগুলো ক্লেডের বিবর্তন। দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিয়ান গিরিজনি। এশিয়ায় সিমেরিয়ান গিরিজনি। নিউজিল্যান্ডে রাঙিটাটা গিরিজনির সূত্রপাত। উত্তর অস্ট্রেলিয়া, কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েল্সে হান্টার-বাওয়েন গিরিজনির সমাপ্তি, (আঃ ২৬–২২.৫ কোটি)। | আঃ ২০.৮৫ | |||
নরিয়ান | আঃ ২২.৮ | ||||||
কার্নিয়ান | আঃ ২৩.৫* | ||||||
মধ্য | ল্যাডিনিয়ান | আঃ ২৪.২* | |||||
আনিসিয়ান | ২৪.৭২ | ||||||
আদিম | ওলেনেকিয়ান | ২৫.১২ | |||||
ইন্দুয়ান | ২৫.২২ ± ০.০৫* | ||||||
প্যালিওজোয়িক | পার্মিয়ান | লপিঞ্জিয়ান | চাংসিঙ্গিয়ান | সমস্ত ভূভাগ একত্র হয়ে অতিমহাদেশ প্যাঞ্জিয়ার গঠন এবং ফলস্বরূপ অ্যাপালেশিয়ান পর্বতমালার পূর্ণতা প্রাপ্তি। পার্মো-কার্বনিফেরাস হিমযুগের অবসান। সাইন্যাপসিড সরীসৃপদের (পেলিকোসর আর থেরাপসিড) বাড়বাড়ন্ত, এবং অধিসরীসৃপ (parareptile) ও টেমনোস্পণ্ডাইল উভচরদের প্রভাব অব্যাহত। মধ্য পার্মিয়ানে কয়লা-যুগের উদ্ভিদের পরিবর্তে রেণুপত্রমঞ্জরী সম্বলিত ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ (যারা প্রথম প্রকৃত বীজযুক্ত উদ্ভিদও বটে) ও প্রথম প্রকৃত মসের আবির্ভাব। গুবরে পোকা আর মাছির বিবর্তন। উষ্ণ অগভীর সমুদ্রে প্রাণের বহু-বিচিত্র বিকাশ; প্রোডাক্টিড ও স্পিরিফেরিড ব্র্যাকিওপড, ঝিনুক, ফোরামিনিফেরা এবং অ্যামোনয়েড - এদের প্রত্যেকের স্বর্ণযুগ। ২৫.১কোটি বছর আগে পার্মিয়ান-ট্রায়াসিক বিলুপ্তি ঘটনা: ট্রাইলোবাইট, গ্রাপ্টোলাইট ও ব্ল্যাস্টয়েড সমেত জীবজগতের ৫৫% এর বিলুপ্তি। উত্তর আমেরিকায় উয়াচিটা ও ইনুইশিয়ান গিরিজনি। ইউরোপ/এশিয়ায় উরালিয়ান গিরিজনির সমাপ্তি। এশিয়ায় আলতাইড গিরিজনি। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে হান্টার-বাওয়েন গিরিজনির আরম্ভ (আঃ ২৬–২২.৫ কোটি) এবং ম্যাকডনেল পর্বতমালার উৎপত্তি। | ২৫.৪২ ± ০.০১* | ||
উচিয়াপিঞ্জিয়ান | ২৫.৯৯ ± ০.০৪* | ||||||
গুয়াডেলুপিয়ান | ক্যাপিটানিয়ান | ২৬.৫১ ± ০.০৪* | |||||
ওয়র্দিয়ান | ২৬.৮৮ ± ০.০৫* | ||||||
রোডিয়ান/উফিমিয়ান | ২৭.২৩ ± ০.০৫* | ||||||
সিজুরালিয়ান | কুঙ্গুরিয়ান | ২৭.৯৩ ± ০.০৬ | |||||
আর্তিন্সকিয়ান | ২৯.০১ ± ০.০১ | ||||||
সাকমারিয়ান | ২৯.৫৫ ± ০.০৪ | ||||||
আসেলিয়ান | ২৯.৮৯ ± ০.০২* | ||||||
কার্বনিফেরাস[৯] | পেন্সিলভ্যানিয়ান | জেলিয়ান | ডানাওয়ালা পতঙ্গদের আকস্মিক বিবর্তন ও নানা প্রজাতিতে বিভাজন। এদের মধ্যে কেউ কেউ (বিশেষত প্রোটোডোনাটা আর প্যালিওডিক্টিঅপ্টেরা) রীতিমত বড়। উভচরেরা উপস্থিত এবং বহু-বিচিত্র। প্রথম সরীসৃপ এবং কয়লা গঠনকারী বনাঞ্চল (আঁশওয়ালা গাছ, ফার্ন, সিজিলারিয়া, দৈত্যাকার হর্সটেল, কর্ডাইটিস প্রভৃতি)। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেনের মাত্রা সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রে গোনাটাইট, ব্র্যাকিওপড, ব্রায়োজোয়া, ঝিনুক এবং প্রবালের প্রাচুর্য। শক্ত খোলাবিশিষ্ট ফোরামিনিফেরাদের বাড়বাড়ন্ত। ইউরোপ ও এশিয়ায় উরালিয়ান গিরিজনি। মধ্য থেকে অন্ত্য মিসিসিপিয়ান পর্যায়ে ভ্যারিস্কান গিরিজনির সক্রিয়তা। | ৩০.৩৭ ± ০.০১ | |||
কাসিমোভিয়ান | ৩০.৭ ± ০.০১ | ||||||
মস্কোভিয়ান | ৩১.৫২ ± ০.০২ | ||||||
বাশকিরিয়ান | ৩২.৩২ ± ০.০৪* | ||||||
মিসিসিপিয়ান | সেরপুখফিয়ান | বিশাল আদিম বৃক্ষ। পরবর্তীকালে কয়লা গঠনকারী, সমুদ্র উপকূলবর্তী ঝোপঝাড়ে প্রথম স্থলচর মেরুদন্ডী এবং উভচর সমুদ্র বৃশ্চিকদের বসবাস। রশ্মিবিশিষ্ট পাখনাওয়ালা রাইজোডন্টরা মিষ্টিজলের প্রধান শিকারী। সমুদ্রে আদিম হাঙরেরা প্রচুর সংখ্যায় বর্তমান এবং নানা প্রজাতিতে বিভক্ত; কন্টকত্বকীরাও (বিশেষত ক্রিনয়েড আর ব্ল্যাস্টয়েড) প্রভাবশালী। প্রবাল, ব্রায়োজোয়া, গোনিয়াটাইট এবং ব্র্যাকিওপডরাও (প্রোডাক্টিডা, স্পিরিফেরিডা ইত্যাদি) উপস্থিত, কিন্তু ট্রাইলোবাইট এবং নটিলয়েডরা বিলুপ্তির পথে। পূর্ব গণ্ডোয়ানায় হিমবাহের প্রভাব বিস্তার। নিউজিল্যান্ডে টুহুয়া গিরিজনির সমাপ্তি। | ৩৩.০৯ ± ০.০২ | ||||
ভিসেয়ান | ৩৪.৬৭ ± ০.০৪* | ||||||
তুর্নাইসিয়ান | ৩৫.৮৯ ± ০.০৪* | ||||||
ডেভোনিয়ান | অন্ত্য | ফামেনিয়ান | ডাঙায় প্রথম ক্লাব মস, হর্সটেল এবং ফার্নের আবির্ভাব। প্রথম বীজযুক্ত উদ্ভিদ (প্রোজিম্নোস্পার্ম), প্রথম বৃক্ষ (আর্কিওপ্টেরিস নামক প্রোজিম্নোস্পার্ম) এবং প্রথম ডানাবিহীন পতঙ্গেরও আবির্ভাব। সমুদ্রে স্ট্রোফোমেনিডা ও অ্যাট্রিপিডা জাতীয় ব্র্যাকিওপড, কুঞ্চিত ও স্তরীভূত প্রবাল এবং ক্রিনয়েড-দের বাড়বাড়ন্ত। গোনিয়াটাইট জাতীয় অ্যামোনাইটরা প্রভাবশালী, এবং স্কুইড বা অক্টোপাস-সদৃশ কোলিয়ইডিয়ার আত্মপ্রকাশ। ট্রাইলোবাইট এবং বর্মধারী চোয়ালবিহীন মাছেদের ক্রমাবলুপ্তি এবং সাগরজলের রাজত্ব চোয়ালযুক্ত প্ল্যাকোডার্ম, খণ্ডিত পাখনাওয়ালা এবং আদিম রশ্মিবিশিষ্ট পাখনাওয়ালা মাছেদের হাতে স্থানান্তর। প্রথম উভচরেরা তখনও জলচর। প্রাচীন লাল বেলেপাথরের মহাদেশ ইউরামেরিকার গঠন। উত্তর আফ্রিকায় অ্যাটলাস পর্বতমালা সৃষ্টিকারী এবং উত্তর আমেরিকায় অ্যাপালেশিয়ান পর্বতমালা সৃষ্টিকারী আকাডিয়ান গিরিজনির আরম্ভ। এছাড়াও অ্যান্টলার গিরিজনি, ভ্যারিস্কান গিরিজনি এবং নিউজিল্যান্ডে টুহুয়া গিরিজনি। | ৩৭.২২ ± ০.১৬* | |||
ফ্রাসনিয়ান | ৩৮.২৭ ± ০.১৬* | ||||||
মধ্য | জিভেশিয়ান | ৩৮.৭৭ ±০.০৪* | |||||
এইফেলিয়ান | ৩৯.৩৩ ± ০.১২* | ||||||
আদিম | এমসিয়ান | ৪০.৭৬ ± ০.২৬* | |||||
প্রাগিয়ান | ৪১.০৮ ± ০.২৮* | ||||||
লচকোভিয়ান | ৪১.৯২ ± ০.৩২* | ||||||
সিলুরিয়ান | প্রিদোলি | প্রথম নালিকাবান্ডিলযুক্ত উদ্ভিদ (রাইনিওফাইট এবং তাদের জ্ঞাতি), ডাঙায় প্রথম সহস্রপদী এবং আর্থোপ্লিউরিড। সমুদ্রে প্রথম চোয়ালযুক্ত মাছ এবং অনেক বর্মধারী চোয়ালবিহীন মাছের রাজত্ব। সমুদ্র বৃশ্চিকদের বিরাট আয়তন লাভ। স্তরীভূত ও কুঞ্চিত প্রবাল, ব্র্যাকিওপড (পেন্টামেরিডা, রিঙ্কোনেলিডা ইত্যাদি) এবং ক্রিনয়েড-দের বাড়বাড়ন্ত। ট্রাইলোবাইট এবং কম্বোজদের নানা শাখায় বিভাজন; গ্রাপ্টোলাইটরা স্থিতিশীল। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্স, স্কটল্যান্ড ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পর্বতসমূহ সৃষ্টিকারী ক্যালিডোনিয়ান গিরিজনির আরম্ভ; এটিই পরে ডেভোনিয়ান যুগে আকাডিয়ান গিরিজনি হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকবে। ট্যাকোনিক গিরিজনির সমাপ্তি। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে ল্যাকলান গিরিজনির সমাপ্তি। | ৪২.৩ ± ০.২৩* | ||||
লাডলো/কায়ুগান | লুডফোর্ডিয়ান | ৪২.৫৬ ± ০.০৯* | |||||
গর্স্টিয়ান | ৪২.৭৪ ± ০.০৫* | ||||||
ওয়েনলক | হোমারিয়ান/লকপোর্শিয়ান | ৪৩.০৫ ± ০.০৭* | |||||
শেইনউডিয়ান/তোনাওয়ান্ডান | ৪৩.৩৪ ± ০.০৮* | ||||||
ল্যান্ডোভেরি/ আলেক্সান্দ্রিয়ান |
টেলিকিয়ান/অন্টারিয়ান | ৪৩.৮৫ ± ০.১১* | |||||
এরোনিয়ান | ৪৪.০৮ ± ০.১২* | ||||||
রুদ্দানিয়ান | ৪৪.৩৪ ± ০.১৫* | ||||||
অর্ডোভিশিয়ান | অন্ত্য | হার্নানশিয়ান | অমেরুদন্ডীদের নানা শাখায় বিভাজন (যেমনː সোজা খোলকওয়ালা কম্বোজ)। আদিম প্রবাল, কবজাযুক্ত ব্র্যাকিওপড (অর্থিডা, স্ট্রোফোমেনিডা ইত্যাদি), ঝিনুক, নটিলয়েড, ট্রাইলোবাইট, হেড়োচাম, ব্রায়োজোয়া, নানা রকমের কন্টকত্বকী (ক্রিনয়েড, ক্রিস্টয়েড, তারামাছ ইত্যাদি), শাখাযুক্ত গ্রাপ্টোলাইট এবং অন্যান্য ট্যাক্সনসমূহের প্রতিটিরই স্পষ্ট উপস্থিতি। কোনোডন্ট (আদিম প্ল্যাঙ্কটন জাতীয় মেরুদন্ডী)-দের আবির্ভাব। ডাঙায় প্রথম সবুজ উদ্ভিদ ও ছত্রাক। যুগের শেষে তুষার যুগ। | ৪৪.৫২ ± ০.১৪* | |||
কেটিয়ান | ৪৫.৩ ± ০.০৭* | ||||||
স্যাণ্ডবিয়ান | ৪৫.৮৪ ± ০.০৯* | ||||||
মধ্য | ড্যারিউইলিয়ান | ৪৬.৭৩ ± ০.১১* | |||||
ড্যাপিঞ্জিয়ান | ৪৭ ± ০.১৪* | ||||||
আদিম | ফ্লোইয়ান (ভূতপূর্ব আরেনিগ) |
৪৭.৭৭ ± ০.১৪* | |||||
ট্রেমাডোকিয়ান | ৪৮.৫৪ ± ০.১৯* | ||||||
ক্যাম্ব্রিয়ান | ফুরঙ্গিয়ান | পর্যায় ১০ | ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণে জীবনের বহুবিচিত্র রূপের প্রকাশ। অজস্র জীবাশ্ম; অধিকাংশ আধুনিক প্রাণী-পর্বের আবির্ভাব। প্রথম কর্ডাটা, ও সেইসঙ্গে অনেক অধুনা-অবলুপ্ত পর্ব যাদের শ্রেণীবিন্যাস এখনও সঠিকভাবে করা যায়নি। প্রাচীর-নির্মাণকারী আর্কিওসায়াথার বাড়বৃদ্ধি এবং বিলোপন। ট্রাইলোবাইট, প্রায়াপুলিড কীট, স্পঞ্জ, কবজাবিহীন ব্র্যাকিওপড এবং আরও অনেক প্রাণীর বিবর্তন। বৃহৎ মাংসাশী হিসেবে অ্যানোমালোক্যারিড-দের আত্মপ্রকাশ, এবং বহুসংখ্যক এডিয়াকারান প্রজাতির বিলুপ্তি। প্রোক্যারিওট, প্রোটিস্টা, ছত্রাক এবং শৈবাল আজও টিকে আছে। গণ্ডোয়ানা অতিমহাদেশের গঠন। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে পিটারমান গিরিজনির সমাপ্তি (৫৫–৫৩.৫ কোটি). অ্যান্টার্কটিকায় রস গিরিজনি। অ্যাডিলেড মহীখাত (ডেলামেরিয়ান গিরিজনি), ৫১.৪–৫০কোটি বছর আগে অতিমাত্রায় গিরিজনীয় সক্রিয়তা। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে ল্যাকলান গিরিজনি, আঃ ৫৪–৪৪কোটি। বায়ুমণ্ডলের CO2 এর ভাগ বর্তমান (হলোসিন) কালের প্রায় ২০–৩৫ গুণ (৬০০০ ppmv; এখন মাত্র ৩৮৫ ppmv)[৬][৭]। | আঃ ৪৮.৯৫ | |||
জিয়াংশানিয়ান | আঃ ৪৯.৪* | ||||||
পাইবিয়ান | আঃ ৪৯.৭* | ||||||
সিরিজ ৩ | গুজাঙ্গিয়ান | আঃ ৫০.০৫* | |||||
ড্রুমিয়ান | আঃ ৫০.৪৫* | ||||||
পর্যায় ৫ | আঃ ৫০.৯ | ||||||
সিরিজ ২ | পর্যায় ৪ | আঃ ৫১.৪ | |||||
পর্যায় ৩ | আঃ ৫২.১ | ||||||
টেরেনিউভিয়ান | দ্বিতীয় পর্যায় | আঃ ৫২.৯ | |||||
ফর্চুনিয়ান | ৫৪.১ ± ০.১* | ||||||
প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান[১০] | প্রোটেরোজোয়িক[১১] | নিওপ্রোটেরোজোয়িক[১১] | ইডিয়াকারান | বহুকোশী প্রাণীর প্রথম সুসংরক্ষিত জীবাশ্ম। পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রগর্ভে ইডিয়াকারান বায়োটার বাড়বৃদ্ধি। সম্ভবত কৃমির আকৃতিবিশিষ্ট ট্রাইকোফাইকাস ইত্যাদির সরল ছাপ জীবাশ্ম। প্রথম স্পঞ্জ এবং ত্রিখণ্ডী। থলে, চাকতি, কম্বল সদৃশ জেলির মত নরম বহুসংখ্যক অদ্ভুত প্রাণীর আবির্ভাব (যেমন-ডিকিন্সোনিয়া)। উত্তর আমেরিকায় ট্যাকোনিক গিরিজনি। ভারতীয় উপমহাদেশে আরাবল্লী গিরিজনি। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে পিটারমান গিরিজনির আরম্ভ। অ্যান্টার্কটিকায় বিয়ার্ডমোর গিরিজনি, ৬৩.৩–৬২কোটি। | আঃ ৬৩.৫* | ||
ক্রায়োজেনিয়ান | সম্ভাব্য "তুষারগোলক পৃথিবী" । জীবাশ্ম বিরল। রোডিনিয়া মহাভূখণ্ডের ভাঙনের সূত্রপাত। অ্যান্টার্কটিকায় অন্তিম রুকার/নিমরড গিরিজনির সমাপ্তি। | ৮৫[১২] | |||||
টোনিয়ান | রোডিনিয়া অতিমহাদেশ স্থিতিশীল। সরল বহুকোশীদের ছাপ জীবাশ্ম। ডাইনোফ্ল্যাজেলেট-সদৃশ অ্যাক্রিটার্কদের প্রথম বিবর্তনীয় বিকিরণ। উত্তর আমেরিকায় গ্রেনভিল গিরিজনির সমাপ্তি। আফ্রিকায় প্যান-আফ্রিকান গিরিজনি। অ্যান্টার্কটিকায় অন্তিম রুকার/নিমরড গিরিজনি, ১০০ ± ১৫ কোটি। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় গ্যাসকয়েন কমপ্লেক্সে এডমন্ডিয়ান গিরিজনি (আঃ ৯২ - ৮৫কোটি)। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে অ্যাডিলেড মহীখাত গঠন এবং তার ফলস্বরূপ ডেলামেরিয়ান গিরিজনির সূত্রপাত। | ১০০[১২] | |||||
মেসোপ্রোটেরোজোয়িক[১১] | স্টেনিয়ান | রোডিনিয়া অতিমহাদেশ গঠনপ্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গিরিজনিসমূহে রূপান্তরিত শিলার বহুসংখ্যক সংকীর্ণ বলয় গঠন। অ্যান্টার্কটিকায় সম্ভবত অন্তিম রুকার/নিমরড গিরিজনির আরম্ভ। মধ্য অস্ট্রেলিয়ায় মাসগ্রেভ ব্লকে মাসগ্রেভ গিরিজনি (আঃ ১০৮ কোটি)। | ১২০[১২] | ||||
এক্টাশিয়ান | মহাদেশীয় ভূত্বকের সম্প্রসারণ অব্যাহত। সমুদ্রগর্ভে সবুজ শৈবালের উপনিবেশ। উত্তর আমেরিকায় গ্রেনভিল গিরিজনি। | ১৪০[১২] | |||||
ক্যালিমিয়ান | ক্রেটনের উপর আগ্নেয় শিলা ও শিলাচূর্ণ সঞ্চিত হয়ে মহাদেশীয় ভূত্বকের সম্প্রসারণ। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকআর্থার উপত্যকায় বারামুন্ডি গিরিজনি ও ইসান গিরিজনি, আনুমানিক ১৬০ কোটি, কুইন্সল্যান্ডে মাউন্ট ইসা ব্লক। | ১৬০[১২] | |||||
প্যালিওপ্রোটেরোজোয়িক[১১] | স্ট্যাথেরিয়ান | প্রথম জটিল বহুকোশী জীবন: নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট প্রোটিস্ট। কলাম্বিয়া আদিমতম অতিমহাদেশ। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে কিম্বান গিরিজনির সমাপ্তি। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় য়িলগার্ন ক্রেটনে ইয়াপুংকু গিরিজনি এবং গ্যাসকয়েন কমপ্লেক্সে ম্যাঙ্গারুন গিরিজনি, ১৬৮–১৬২ কোটি। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় গাওলার ক্রেটনে কারারান গিরিজনি, ১৬৫ কোটি। | ১৮০[১২] | ||||
অরোসিরিয়ান | পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন-প্রাধান্যের সূচনা। ভ্রেদেফোর্ট এবং সাডবেরি গ্রহাণু সংঘর্ষ। বহুসংখ্যক গিরিজনি। উত্তর আমেরিকায় পেনোকিয়ান এবং হাডসনব্যাপী গিরিজনিসমূহ। অ্যান্টার্কটিকায় প্রাথমিক রুকার গিরিজনি, ২০০-১৭০ কোটি। অস্ট্রেলীয় মহাদেশে গ্লেনবার্গ গিরিজনি, গ্যাসকয়েন কমপ্লেক্স, আনুমানিক ২০০.৫-১৯২ কোটি। কিম্বান গিরিজনি, অস্ট্রেলিয়ায় গাওলার ক্রেটন। | ২০৫[১২] | |||||
রায়াসিয়ান | বুশভেল্ড আগ্নেয় ভাস্কর্য গঠন; হুরনিয়ান হিমবাহযুগ। | ২৩০[১২] | |||||
সিডেরিয়ান | অক্সিজেন বিপর্যয়: স্তরীভূত লোহাপাথর গঠন। অস্ট্রেলিয়ায় স্লীফোর্ড গিরিজনি, গাওলার ক্রেটন ২৪৪–২৪২ কোটি. | ২৫০[১২] | |||||
আর্কিয়ান[১১] | নিওআর্কিয়ান[১১] | অধিকাংশ আধুনিক ক্রেটনের সুস্থিত অবস্থান লাভ; গুরুমণ্ডলের অস্থিতিজনিত সম্ভাব্য ভূগাঠনিক অতিসক্রিয়তা; ইনসেল গিরিজনি, ২৬৫ ± ১৫ কোটি বছর। বর্তমান অন্টারিও ও কুইবেক জুড়ে আবিতিবি গ্রিনহাউস বলয় গঠন শুরু হয়, যা ২৬০ কোটি বছর আগে সুস্থিত হয়। | ২৮০[১২] | ||||
মেসোআর্কিয়ান[১১] | প্রথম স্ট্রোমাটোলাইট (সম্ভবত ঔপনিবেশিক সায়ানোব্যাক্টেরিয়া)। প্রাচীনতম দৃশ্যমান জীবাশ্ম। অ্যান্টার্কটিকায় হাম্বোল্ট গিরিজনি। বর্তমান অন্টারিও ও কুইবেকে স্নেক নদী মেগাক্যাল্ডেরা কমপ্লেক্স গঠন শুরু হয়, শেষ হয় আনুমানিক ২৬৯.৬ কোটি বছর আগে। | ৩২০[১২] | |||||
প্যালিওআর্কিয়ান[১১] | প্রথম স্বভোজী ব্যাক্টেরিয়া। নিশ্চিত প্রাচীনতম অণুজীবাশ্ম। কানাডীয় শীল্ড, পিলবারা ক্রেটন প্রভৃতি প্রাচীনতম ক্রেটনগুলো এই সময়ে গঠিত হয়ে থাকতে পারে[১৩]। অ্যান্টার্কটিকায় রায়নার গিরিজনি। | ৩৬০[১২] | |||||
ইওআর্কিয়ান[১১] | সরল এককোশী জীব (সম্ভবত ব্যাক্টেরিয়া এবং আর্কিয়া)। সম্ভাব্য প্রাচীনতম অণুজীবাশ্ম। | ৪০০ | |||||
হেডিয়ান [১১][১৪] |
আদি ইম্ব্রিয়ান[১১][১৫] | আদিম জীবেদের দ্বারা সংঘটিত সালোকসংশ্লেষের পরোক্ষ প্রমাণ (কেরোজেন)। এই মহাযুগ আভ্যন্তরীণ সৌরজগতে অন্তিম প্রবল উল্কাবর্ষণের সমাপ্তিকালের সমসাময়িক ছিল। | আঃ ৪২০ | ||||
নেক্টারিয়ান[১১][১৫] | এই সময়কালটির নামকরণ করা হয়েছে চান্দ্রেয় ভূতাত্ত্বিক সময়সীমার সেই পর্বের নামানুসারে যখন বিভিন্ন মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে নেক্টারিস উপত্যকা প্রভৃতি বৃহৎ চান্দ্রেয় উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছিল। | আঃ ৪৩০ | |||||
চন্দ্রোপত্যকা-বিভাগসমূহ[১১][১৫] | প্রাচীনতম প্রাপ্ত পাথর (৪০৩ কোটি)[১৬]। আনুমানিক ৪০০ কোটি বছর আগে ও অন্তিম প্রবল উল্কাবর্ষণ শেষ হওয়ার পর প্রথম জীব এবং স্বপ্রজননশীল আরএনএ অণুর বিবর্তন। অ্যান্টার্কটিকায় নেপিয়ার গিরিজনি, ৪০০ ± ২০ কোটি বছর। | আঃ ৪৫০ | |||||
অপ্রমেয়[১১][১৫] | প্রাচীনতম প্রাপ্ত খনিজ (জারকন, ৪৪০.৪±০.৮ কোটি).[১৭] চাঁদের সৃষ্টি (৪৫৩.৩ কোটি), সম্ভবত কোনো আদিম গ্রহের সাথে ধাক্কার ফলে। পৃথিবীর জন্ম (৪৫৬.৭১৭ থেকে ৪৫৭ কোটি) | আঃ ৪৫৬.৭ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ পুরাজীববিদরা প্রায়শই ভূতাত্ত্বিক যুগের বদলে প্রাণী পর্যায়ের কথা বলেন। এই পর্যায়গুলোর নামকরণের পদ্ধতি বেশ জটিল। বিভিন্ন প্রাণী পর্যায়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ সময়ানুগ তালিকার জন্য দেখুন "দ্য প্যালিওবায়োলজি ডেটাবেস"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৩-১৯।
- ↑ ক খ Dates are slightly uncertain with differences of a few percent between various sources being common. This is largely due to uncertainties in radiometric dating and the problem that deposits suitable for radiometric dating seldom occur exactly at the places in the geologic column where they would be most useful. The dates and errors quoted above are according to the ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন স্ট্র্যাটিগ্রাফি 2012 time scale. Where errors are not quoted, errors are less than the precision of the age given. Dates labeled with a * indicate boundaries where a Global Boundary Stratotype Section and Point has been internationally agreed upon: see List of Global Boundary Stratotype Sections and Points for a complete list.
- ↑ উত্তর-ক্যাম্ব্রিয়ান কালের নির্দেশনা সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত নয়। তাই এটিকে আনুষ্ঠানিক মান্যতা দেওয়া হয় না।
- ↑ ঐতিহাসিকভাবে সিনোজোয়িক মহাযুগকে কোয়াটার্নারি আর টার্শিয়ারি উপমহাযুগ এবং নিওজিন ও প্যালিওজিন যুগে ভাগ করা হয়। ২০০৯ খ্রিঃ আইসিএস নির্ধারিত সময় সারণীটি কোয়াটার্নারি ও প্যালিওজিনের সীমা একটু বাড়িয়ে নিওজিনকে একটু ছোট দেখিয়েছে। টার্শিয়ারি উপমহাযুগকে আর আনুষ্ঠানিক মান্যতা দেওয়া হয় না।
- ↑ "NASA Scientists React to 400 ppm Carbon Milestone". Accessed 1/15/2014 [১]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Royer, Dana L.। "CO
২-forced climate thresholds during the Phanerozoic" (PDF)। Geochimica et Cosmochimica Acta। 70 (23): 5665–75। ডিওআই:10.1016/j.gca.2005.11.031। বিবকোড:2006GeCoA..70.5665R। অজানা প্যারামিটার|Year=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|year=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ এ'ব্যাপারে আরও জানতে দেখুন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, বায়ুমণ্ডলের বিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তন। বিগত ৫৫ কোটি, ৬.৫ কোটি এবং ৫০ লক্ষ বছর আগে বায়ুমণ্ডলের CO2 এর মাত্রার তুলনামূলক রেখাচিত্র দেখা যাবে যথাক্রমে Image:Phanerozoic_Carbon_Dioxide.png, Image:65 Myr Climate Change.png এবং Image:Five Myr Climate Change.png-এ।
- ↑ হলোসিন অধোযুগের সূচনাকাল এখানে দেওয়া আছে ১১,৭০০ বছর আগে। এই অধোযুগের সময়সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য দেখুন, হলোসিন।
- ↑ উত্তর আমেরিকায় কার্বনিফেরাসকে মিসিসিপিয়ান ও পেন্সিলভ্যানিয়ান-এই দুই পর্যায়ে ভাগ করা হয়।
- ↑ প্রাক্-ক্যাম্ব্রিয়ান-কে ক্রিপ্টোজোয়িকও বলা হয়।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ The Proterozoic, Archean and Hadean are often collectively referred to as the Precambrian Time or sometimes, also the Cryptozoic.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ Defined by absolute age (Global Standard Stratigraphic Age).
- ↑ The age of the oldest measurable craton, or continental crust, is dated to 3600–3800 কোটি
- ↑ Though commonly used, the Hadean is not a forকোটিl eon and no lower bound for the Archean and Eoarchean have been agreed upon. The Hadean has also sometimes been called the Priscoan or the Azoic. Sometimes, the Hadean can be found to be subdivided according to the lunar geologic time scale. These eras include the Cryptic and Basin Groups (which are subdivisions of the Pre-Nectarian era), Nectarian, and Early Imbrian units.
- ↑ ক খ গ ঘ These unit names were taken from the Lunar geologic timescale and refer to geologic events that did not occur on Earth. Their use for Earth geology is unofficial. Note that their start times do not dovetail perfectly with the later, terrestrially defined boundaries.
- ↑ Bowring, Samuel A.; Williams, Ian S. (১৯৯৯)। "Priscoan (4.00–4.03 Ga) orthogneisses from northwestern Canada"। Contributions to Mineralogy and Petrology। ১৩৪ (১): ৩। ডিওআই:10.1007/s004100050465। বিবকোড:1999CoMP..134....3B। The oldest rock on Earth is the Acasta Gneiss, and it dates to 4.03 Ga, located in the Northwest Territories of Canada.
- ↑ Geology.wisc.edu
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- NASA: Geologic Time
- GSA: Geologic Time Scale
- British Geological Survey: Geological Timechart ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে
- GeoWhen Database
- International Commission on Stratigraphy Time Scale
- CHRONOS
- National Museum of Natural History - Geologic Time
- SeeGrid: Geological Time Systems ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুলাই ২০০৮ তারিখে Information model for the geologic time scale
- Exploring Time ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে from Planck Time to the lifespan of the universe