Khulna Knowledge Notes
Khulna Knowledge Notes
Khulna Knowledge Notes
ক) বাগেরহাট জেলা :
▪️ বর্ত মানে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট শহরের পূর্ব নাম ছিল ‘খলিফাতাবাদ’।
এটি শাহী বাংলার পুদিনার শহর নামেও পরিচিত ছিল।
▪️ ইউনেসকো ঘোষিত বাংলাদেশে যে তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান রয়েছে, তার দুটির
গর্বিত অবস্থান এই বাগেরহাটে। এর একটি হচ্ছে – ঐতিহাসিক ষাটগম্বু জ মসজিদসহ
খানজাহান (রহ:) এর কীর্তি, অন্যটি প্রকৃতির অপার বিষ্ময় সুন্দরবন।
▪️ বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া ১৫টি শহরের তালিকায় (ফোর্বস) রয়েছে এই জেলার নাম।
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা :
▪️ এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৪৪২ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি ১৪৯৯ সালে
সমাপ্ত হয়।
বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত কথিত ঠাকুর দিঘি’র পাড়ের উপর অবস্থিত একটি কৃত্রিম
উঁচু ঢিবি। এটি বর্ত মানে খান জাহান সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নামেও পরিচিত ।
👉 জিন্দাপীর মসজিদ :
বাগেরহাট খান জাহান আলী মাজার এর পশ্চিম পাশ কিছু দূর এগিয়ে একটি রাস্তা
নেমে গেছে যার পাশে এক গুম্বু জ বিশিষ্ট একটি মসজিদ যা জিন্দা পীরের মাজার নামে
পরিচিত।
👉কোদলা মঠ :
এই প্রত্নতাত্ত্বিক অবকাঠামোটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়। এ মঠের
নাম কোদলা মঠ হলেও স্থানীয়ভাবে অযোধ্যা মঠ নামেও পরিচিত। বারো ভুঁ ইয়ার
অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের উদ্যেগে তার গুরু (সভাপন্ডিত) অবিলম্ব সরস্বতীর
স্মতিস্তম্ভ হিসাবে মঠটি নির্মান করা হয়।
🚀সুন্দরবন
▪️ ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার
(৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।
🚀 দুবলার চর :
বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের
দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ যা চর নামে হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা এবং
হরিণের জন্য বহুল পরিচিত।
কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর। এই চরের মোট আয়তন ৮১
বর্গমাইল।
খ) চুয়াডাঙ্গা জেলা :
▪️ দেশ ভাগের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের "নদীয়া" জেলার অন্তর্ভু ক্ত ছিল। পরে কুষ্টিয়া জেলার
অন্তর্ভু ক্ত হয়।
▪️ প্রথম রেলপথ ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া জেলার
জগতী পর্যন্ত। এটি বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন।
▪️ দর্শনীয় স্থান :
🚀পুলিশ পার্ক - পুলিশ সুপার-এর কার্যালয় সংলগ্ন
🚀শিশু স্বর্গ - ফেরি ঘাট রোড
🚀নাটুদহের আট কবর - মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর
bcsprostuti face book group 9
🚀ঘোলদাড়ী শাহী মসজিদ (১০০৬ খ্রিষ্টাব্দ) - আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী
গ্রামে
গ) যশোর জেলা :
বাংলাদেশের যশোর শহরের নাজীর শংকর এলাকা অবস্থিত প্রথম আইটি পার্ক ।
২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশের আইসিটি সেক্টরের বিকাশে যশোরে যাত্রা শুরু করেছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার
টেকনোলজি পার্ক । ১০ই ডিসেম্বর, ২০১৭ইং গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে এই আইটি পার্কে র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ এবং ভারতের স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বেনাপোল স্থল
বন্দরটি কলকাতা হতে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। দুই দেশের মধ্যাকার
বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ বেনাপোলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ফলে অর্থনৈতিক ভাবে
গুরুত্বপূর্ণ বেনাপোল স্থল বন্দরে শুল্ক আদায়ের জন্য কাস্টম হাউস রয়েছে। পণ্য
বাণিজ্য এছাড়াও এই স্থল পথে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণকারী দুই দেশের মধ্যে চলাচল
করে।
ঘ) ঝিনাইদহ জেলা
গুরুত্বপূর্ণ স্থান :
🚀নলডাঙ্গা মন্দির :
ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দির। ১৬৫৬ সালে রাজা বাহাদুর প্রথম
ভূ ষণ দেবরায় নলডাঙ্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।
ঙ) খুলনা জেলা
▪️ খুলনার সমুদ্র বন্দর মংলা খুলনা নগরীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পশুর নদীর তীরে
অবস্থিত যেটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর যার
কারণে খুলনাকে চট্টগ্রামের পর ২য় বৃহত্তম বন্দর নগরীও বলা হয়ে থাকে।
▪️ ইউনেস্কো স্বীকৃতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন খুলনা জেলার
দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়।
▪️ রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব সড়কপথে পদ্মাসেতু হয়ে ২১২
কি.মি.।
দর্শনীয় স্থান :
🚀মংলা বন্দর :
▪️ কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল।
▪️ এ জেলাতে রয়েছে ইসলাম বিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ও স্বাধীন
বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
▪️ শিল্প প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে এ-জেলা দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টিয়া শহর
ছাড়াও এ জেলায় কুমারখালী ও ভেড়ামারা পৌরসভায় বিসিক শিল্প গড়ে ওঠেছে৷
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত।
🚀রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী :
কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে।
🚀মুক্তবাংলা ভাস্কর্য :
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরনার্থে বাংলাদেশের একটি অন্যতম ভাস্কর্য।
ছ) মাগুরা জেলা :
গুরুত্বপূর্ণ স্থান :
🚀সিদ্ধেশ্বরী মঠ :
বাংলাদেশের মাগুরা জেলায় অবস্থিত একটি মঠ। দৃষ্টিনন্দন এই প্রত্নতাত্ত্বিক
অবকাঠামোটি নবগঙ্গা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত এবং পূর্বে একে 'কালিকাতলা শ্মশান'
নামেও অবহিত করা হতো।
▪️ মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমানসিদ্ধ তথ্য আমরা জানা যায়।
একটি হচ্ছে ইসলাম প্রচারক দরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের
🚀আমঝুপি নীলকুঠি :
মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত তৎকালীন ইংরেজ নীলকুঠি ও বাংলাদেশের
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি মেহেরপুর জেলা থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে আমঝুপি
নামক গ্রামে অবস্থিত। পুরো নীলকুঠি কমপ্লেক্সটি ৭৭ একরের বেশি জায়গাজুড়ে
অবস্থিত।
এর পাশেই রয়েছে কাজলা নদী। উপমহাদেশে নীলচাষের অবসানের পর বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭২ সালে এটি প্রথম সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
🚀ভাটপাড়া নীলকুঠি :
এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি
ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন
আহমদ এই স্থানের নামকরণ মুজিবনগর করেছিলেন।
🚀মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ :
স্মৃতিসৌধটির ভূ মি থেকে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচু বেদীতে অসংখ্য গোলাকার বৃত্ত রয়েছে
যা দ্বারা ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলিকে বোঝানো হয়েছে।
ঝ) নড়াইল জেলা
ঞ) সাতক্ষীরা জেলা :
🚀অন্নপূর্ণা মন্দির :
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত। অন্নপূর্ণা মন্দির
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা থেকে ১
কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত। এলাকাটি মায়ের বাড়ি নামেই পরিচিত।
যে কোন প্রয়োজনে:
📞 0 1894-442944
📧 support@codeminersit.com
দেখা হবে বিজয়ে ✌