অসীমা চট্টোপাধ্যায়
অসীমা চট্টোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২২ নভেম্বর ২০০৬ | (বয়স ৮৯)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯১৭-১৯৪৭) ভারতীয় (১৯৪৭-২০০৬) |
মাতৃশিক্ষায়তন | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | বরদানন্দ চট্টোপাধ্যায় |
পুরস্কার | শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার (১৯৬১) পদ্মভূষণ (১৯৭৫) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জৈব রসায়ন, উদ্ভিদ রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
অসীমা চট্টোপাধ্যায় (২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১৭ – ২২ নভেম্বর, ২০০৬) একজন ভারতীয় জৈব রসায়নবিদ ও উদ্ভিদ রসায়নবিদ ছিলেন।[১] তিনি ভিঙ্কা অ্যালকালয়েডের (নয়নতারা থেকে প্রাপ্ত উপক্ষার) গবেষণা করেন এবং ম্যালেরিয়া ও মৃগীরোগের ঔষধ প্রস্তুত করেন।
শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]অসীমা চট্টোপাধ্যায় (বিবাহ-পূর্ববর্তী উপাধি মুখোপাধ্যায়[২]) ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব হতেই মেধাবী অসীমা স্কুলজীবনের পরে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে রসায়নবিদ্যায় স্নাতক হন।[৩][৪] ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উদ্ভিদ রসায়ন এবং কৃত্রিম জৈব রসায়নের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালটেক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানেও তিনি গবেষণার সুযোগ পান।
কর্ম জীবন
[সম্পাদনা]অসীমা চট্টোপাধ্যায় ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা শহরের লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজে রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম নারী ছিলেন যাকে কোন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট অব সায়েন্স উপাধি প্রদান করেন।[১] ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে খ্যাতনামা অধ্যাপক ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানী বরদানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে বিবাহ করেন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রাজাবাজার অঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠানের রসায়ন বিভাগের সহ-অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের ঐতিহ্যশালী খয়রা অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং এই পদে তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত থাকেন।[১]
পুরস্কার
[সম্পাদনা]১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে অসীমা চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে রসায়ন বিজ্ঞানে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তাকে পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়। এই বছরেই তিনি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাধারণ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি হতে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের মে পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।[১] ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে সেপ্টেম্বর তার জন্মশতবর্ষে গুগল এক ডুডলের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানায়। [৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ The Shaping of Indian Science. p. 1036. Indian Science Congress Association, Presidential Addresses By Indian Science Congress Association. Published by Orient Blackswan, 2003. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৩৭১-৪৩৩-৭
- ↑ Mention of the maiden name
- ↑ Some Alumni of Scottish Church College in 175th Year Commemoration Volume Scottish Church College, 2008, p. 584
- ↑ "Chemistry alumni of Scottish Church College"। ৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "জন্ম শতবর্ষে গুগল ডুডলে বিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৪।
- ১৯১৭-এ জন্ম
- ২০০৬-এ মৃত্যু
- ভারতীয় নারী বিজ্ঞানী
- বাঙালি নারী বিজ্ঞানী
- বাঙালি বিজ্ঞানী
- বাঙালি রসায়নবিদ
- শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার বিজয়ী
- স্কটিশ চার্চ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী বিজ্ঞানী
- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সভ্য
- পশ্চিমবঙ্গের নারী শিক্ষাবিদ
- ভারতীয় জৈব রসায়নবিদ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় রসায়নবিদ
- বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে পদ্মভূষণ প্রাপক
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য
- ভারতীয় নারী উদ্ভিদবিজ্ঞানী
- কলকাতার বিজ্ঞানী
- পশ্চিমবঙ্গের নারী বিজ্ঞানী
- রাজ্যসভার নারী সদস্য