অহল্যাবাঈ হোলকার
মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকার | |||||
---|---|---|---|---|---|
হার হাইনেস মহারাণী শ্রীমন্ত অখন্ড সৌভাগ্যবতী অহল্যাবাঈ সাহিবা | |||||
মালওয়া রাজ্যের রানী | |||||
রাজত্ব | ১লা ডিসেম্বর ১৭৬৭ – ১৩ই আগস্ট ১৭৯৫ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১১ই ডিসেম্বর ১৭৬৭ | ||||
পূর্বসূরি | মালেরাও হোলকর | ||||
উত্তরসূরি | তুকোজিরাও হোলকর ১ | ||||
জন্ম | গ্রাম চৌন্ডি, জামখেদ, আহমেদনগর, মহারাষ্ট্র, ভারত | ৩১ মে ১৭২৪||||
মৃত্যু | ১৩ আগস্ট ১৭৯৫ | বয়স ৭২ বছর||||
দাম্পত্য সঙ্গী | খান্দেরাও হোলকর | ||||
| |||||
রাজবংশ | হোলকার হাউস | ||||
রাজবংশ | মারাঠা সংঘ | ||||
পিতা | মানকোজি শিন্দে | ||||
ধর্ম | হিন্দু, ধংগর |
মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকার (৩১শে মে ১৭২৫ – ১৩ই আগস্ট ১৭৯৫)[১] ছিলেন ভারতের মারাঠা মালওয়া রাজ্যের হোলকর রাণী। রাজমাতা অহল্যাবাঈ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের জামখেদ অঞ্চলের চৌন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার রাজধানী নর্মদা নদীর ওপর ইন্দোরের দক্ষিণে মহেশ্বর অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যান।
১৭৫৪ সালে কুমহেরের যুদ্ধে অহল্যাবাঈয়ের স্বামী খান্দেরাও হোলকর নিহত হন। বারো বছর পরে, তার শ্বশুরমহাশয়, মল্লার রাও হোলকর মারা যান। এক বছর পর তিনি মালওয়া রাজ্যের রানী হিসাবে দায়িত্বভার নেন। তিনি আক্রমণকারীদের লুটপাট থেকে তার রাজ্য রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। তিনি তুকোজিরাও হোলকরকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।
রানী অহল্যাবাঈ ছিলেন একজন মহান এবং অগ্রণী মন্দির নির্মাতা। তিনি সারা ভারতে শত শত মন্দির ও ধর্মশালা নির্মাণ করেছিলেন।
প্রথম জীবন
[সম্পাদনা]অহল্যাবাঈ ৩১শে মে ১৭২৫ সালে চৌন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, বর্তমানকালে এটি মহারাষ্ট্রের আহমদনগর জেলায়। তার বাবা, মানকোজি রাও শিন্দে গ্রামের পাটিল ছিলেন। সেই সময় মহিলারা বিদ্যালয়ে যেতেননা, কিন্তু অহল্যাবাঈয়ের বাবা তাকে পড়তে ও লিখতে শিখিয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইতিহাসের পর্যায়ে তার প্রবেশ একটি দুর্ঘটনার মতই ছিল : মল্লার রাও হোলকর, মারাঠা পেশোয়া বালাজী বাজি রাও এর সেবায় নিয়োজিত একজন সেনাপতি এবং মালওয়া অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তিনি একবার পুণে যাওয়ার পথে চৌন্ডি গ্রামে থামেন, এবং, কিংবদন্তি অনুযায়ী, আট বছর বয়সী অহল্যাবাঈকে গ্রামের মন্দিরের সেবায় নিযুক্ত দেখেন। তার ভক্তি এবং চরিত্র মহিমা অনুধাবন করে, তিনি মেয়েটিকে তার পুত্র খান্দেরাও (১৭২৩–১৭৫৪) এর বধূ হিসাবে হোলকার অঞ্চলে নিয়ে আসেন। ১৭৩৩ সালে তার খান্দেরাও হোলকর এর সঙ্গে বিবাহ হয়। তিনি, ১৭৪৫ সালে, তাদের পুত্র মালেরাও এবং ১৭৪৮ সালে, কন্যা মুক্তাবাঈ এর জন্ম দেন। মালেরাও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং ১৭৬৭ সালে অসুস্থতার কারণে মারা যান। অহল্যাবাঈ আরেকটি ঐতিহ্য ভেঙ্গেছিলেন, যখন তিনি তার মেয়ের বিবাহ, একজন সাহসী কিন্তু দরিদ্র যশবন্তরাও এর সঙ্গে দেন। যশবন্তরাও ডাকাতদের পরাজিত করতে সফল হয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রাজত্ব
[সম্পাদনা]১৭৫৪ সালে কুমহের অবরোধের সময় তার স্বামীর মৃত্যু হয়।[২] ১৭৫৪ সালে, ইমাদ-উল-মুল্ক মুঘল সম্রাট আহমদ শাহ বাহাদুরের মীর বখশীর অনুরোধে, অহল্যাবাঈ এর স্বামী খান্দেরাও হোলকর, তার বাবা মল্লার রাও হোলকরের সেনাবাহিনীকে নিয়ে, কুমহের দুর্গ অবরোধ করেন। এটি ছিল ভরতপুর রাজ্যের জাট মহারাজা সূরজমলের, যিনি মুগল সম্রাটের বিদ্রোহী ওয়াজির সফদর জং এর সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। খান্দেরাও কুমহের এর যুদ্ধে একটি খোলা পাল্কিতে বসে তার সৈন্যদের পরিদর্শন করছিলেন, তখন জাট সেনাবাহিনীর ছোঁড়া একটি কামানের গোলার আঘাতে তার মৃত্যু হয়। ১৭৫৪ সালে তার মৃত্যুর পর, তার পিতা মল্লার রাও, তার স্ত্রী অহল্যাবাঈকে সতী হওয়া থেকে বিরত করেন।[৩] মল্লার রাও হোলকর, ১৭৬৬ সালে, তার ছেলে খান্দেরাও এর মৃত্যুর ১২ বছর পর, মারা যান। ১৭৬৬ সালে, মল্লার রাও এর পৌত্র এবং খান্দেরাও এর একমাত্র পুত্র মালেরাও হোলকর, অহল্যাবাঈ এর কর্তৃত্বাধীনে ইন্দোরের শাসক হন, কিন্তু তিনিও কয়েক মাসের মধ্যেই, ৫ই এপ্রিল ১৭৬৭ সালে মারা যান। তার পুত্রের মৃত্যুর পর অহল্যাবাঈ ইন্দোরের শাসক হন।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Pradesh (India), Madhya (১৮২৭)। Madhya Pradesh District Gazetteers: Hoshangabad (ইংরেজি ভাষায়)। Government Central Press। পৃষ্ঠা 64।
- ↑ Jaswant Lal Mehta (১ জানুয়ারি ২০০৫)। Advanced Study in the History of Modern India 1707–1813। Sterling Publishers Pvt. Ltd। পৃষ্ঠা 606–। আইএসবিএন 978-1-932705-54-6।
- ↑ Anne Feldhaus (২১ মার্চ ১৯৯৬)। Images of Women in Maharashtrian Literature and Religion। SUNY Press। পৃষ্ঠা 184–। আইএসবিএন 978-0-7914-2838-2।
- ↑ Omkareshwar and Maheshwar: Travel Guide। Goodearth Publications। ২০১১। পৃষ্ঠা 60–। আইএসবিএন 978-93-80262-24-6।
- ↑ R. V. Solomon; J. W. Bond (২০০৬)। Indian States: A Biographical, Historical, and Administrative Survey। Asian Educational Services। পৃষ্ঠা 70–। আইএসবিএন 978-81-206-1965-4।