গ্রহাণু বেষ্টনী
সূর্য বৃহস্পতির ট্রোজান গ্রহের কক্ষপথ | গ্রহাণু বেষ্টনী হিলদা গ্রহাণু (হিলদাসমূহ) পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তুসমূহ |
গ্রহাণু বেষ্টনী হল সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত, বেষ্টনী আকৃতি বিশিষ্ট সৌরজগতের অংশবিশেষ। অনিয়মিত আকার-আকৃতি বিশিষ্ট অসংখ্য গ্রহাণু ও গৌণ গ্রহ নামক সৌরজাগতিক বস্তু এ স্থান জুড়ে রয়েছে। পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণু ও ট্রোজান গ্রহাণু থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য গ্রহাণু বেষ্টনী কে প্রধান গ্রহাণু বেষ্টনী বা প্রধান বেষ্টনী ও বলা হয়ে থাকে। বেষ্টনীর প্রায় অর্ধেক ভর এর সর্ববৃহৎ চারটি গ্রহাণু, যথা: সেরেস, ভেস্তা, প্যাল্যাস, ও হাইজিয়া - এর মাঝে নিহিত। গ্রহাণু বেষ্টনীর মোট ভর চাঁদের ভরের প্রায় ৪%, যা প্লুটোর চেয়ে যথেষ্টই কম, এবং প্লুটোর উপগ্রহ শ্যারনের (যার ব্যাস প্রায় ১২০০ কিমি) প্রায় দ্বিগুণ।
গ্রহাণু বেষ্টনীর একমাত্র বামন গ্রহ, সেরেসের ব্যাস প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার (৫৯০ মা), অপরপক্ষে ভেস্তা, প্যাল্যাস ও হাইজিয়ার গড় ব্যাস ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মা) এর কম।[১][২][৩][৪] গ্রহাণু বেষ্টনীর বাকি সদস্যগুলো ক্রমশ আরও ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর, ধূলিকাসদৃশ আকার-আকৃতি পর্যন্ত বিস্তৃত। বেষ্টনীর বস্তুগুলো এতটা হালকাভাবে বিস্তৃত যে অসংখ্য মানবশূণ্য নভোযান কোন প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়াই একে অতিক্রম করেছে। তবুও, বড় গ্রহাণুর মাঝে সংঘর্ষ মাঝেমধ্যে ঘটে থাকে, যার ফলে গ্রহাণু পরিবারের সৃষ্টি হয়, যাদের কক্ষীয় বৈশিষ্ট্য ও গঠন উপাদান একই রকম। বেষ্টনীর একেকটি স্বতন্ত্র গ্রহাণুকে তাদের বর্ণালি অনুসারে শ্রেণিবিন্যস্ত করা হয় এবং অধিকাংশকেই: অঙ্গারময় (সি-শ্রেণী), সিলিকেট (এস-শ্রেণী) ও ধাতু সমৃদ্ধ (এম-শ্রেণী) - এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Krasinsky, G. A.; Pitjeva, E. V.; Vasilyev, M. V.; Yagudina, E. I. (জুলাই ২০০২)। "Hidden Mass in the Asteroid Belt"। Icarus। 158 (1): 98–105। ডিওআই:10.1006/icar.2002.6837। বিবকোড:2002Icar..158...98K।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Pitjeva2005
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;halfmass
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Yeomans, Donald K. (জুলাই ১৩, ২০০৬)। "JPL Small-Body Database Browser"। NASA JPL। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৭।