পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি
পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি پښتونخوا ملي عوامي ګوند | |
---|---|
নেতা | মেহমুদ খান আছকজাই |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Orange |
সিনেট | ২ / ১০৪ |
জাতীয় পরিষদ | ০ / ৩৪২ |
বেলুচিস্তান পরিষদ | ১ / ৬৫ |
পাকিস্তানের রাজনীতি |
পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি (পশতু: پښتونخوا ملي عوامي ګوند; উর্দু: پشتونخوا ملی عوامی پارٹی) হচ্ছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি রাজনৈতিক দল। দলটির সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে পিএমএএপি (PMAP) কিংবা পিকেএমএপি (PKMAP)। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পর এই দলটি পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের অংশীদার ছিল এবং পরবর্তী সময়ে দলটি পিএমএল-এন সরকারের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সময়ে পিএমএল-এনের পাশে ছিল।[১][২]
মতাদর্শ
[সম্পাদনা]পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকাগুলোকে (এফএটিএ) খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একীভূত করার বিরোধিতা করেছে এবং দলটি তাদের এই অবস্থানের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। এই দলটির প্রধান হচ্ছে পশতুন জাতীয়তাবাদী নেতা মেহমুদ খান আছকজাই। তিনি এর পূর্বে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকাগুলোকে কোনও গভর্নর বা কাউন্সিলর দ্বারা পরিচালিত করা উচিত। আর এই গভর্নর বা কাউন্সিলরগণ প্রাপ্ত বয়স্ক জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ তথা ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া উচিত। এছাড়াও পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টির প্রধান আছাকজাই পাক-আফগান সীমান্ত থেকে শুরু করে পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি পর্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী পশতুনদের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।[৩][৪]
নির্বাচনী ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে দলটির নেতা মেহমুদ খান আছকজাই তার নিজ আসন থেকেই পরাজিত হন। এই আসনটিও দলটির হাতছাড়া হওয়ার ফলে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচলে দলটি জাতীয় পরিষদে একটিও আসন জয় করতে পারেনি। অন্যদিকে বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদে পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি একটি আসন জয় লাভ করতে সক্ষম হয়। এর আগে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তান সাধারণ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এই দলটি জাতীয় পরিষদে তিনটি এবং বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে ১০ টি আসনে জয় লাভ করে। অন্য দিকে ২০০২ সালের নির্বাচনে পিকেএমএপি একটি জাতীয় পরিষদের আসন এবং বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের তিনটি প্রাদেশিক আসন লাভ করতে সক্ষম হয়। ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে দলটি দুটি প্রাদেশিক পরিষদের আসনে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়। ১৯৯৩ সালে এটি তিনটি জাতীয় পরিষদের াসন এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদের আসনে বিজয় লাভ করে। এর পূর্বে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি তিনটি প্রাদেশিক পরিষদের আসনে জয় অর্জনে সক্ষম হয়।[৫][৬][৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Pakhtunkhwa Milli Awami Party"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ "Achakzai calls for new social contract"। Dawn। ২৬ জুন ২০১২।
- ↑ Wasim, Amir (২০১৭-১২-১৫)। "Achakzai gives his own formula for Fata reforms"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ "Achakzai advises govt to maintain public contact"। The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ Shahid, Saleem (২০১৮-০৭-২৭)। "Heavyweights fall in Balochistan as PTI makes inroads"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ "Balochistan's electoral politics and NA-259"। The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ "Election 2018: Prominent Politicians ousted"। Dunya News। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
- ↑ "Achakzai accepts defeat in elections"। The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- "Pakhtunkhwa Milli Awami Party - Profile"। Dawn। ১ মে ২০১৩।