প্রাইজবন্ড
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। |
প্রাইজবন্ড (ইংরেজি: Prize Bond) একপ্রকার সুরতিবন্ড (lottery bond) যা ১৯৫৬ সালে আয়ারল্যান্ড প্রথম চালু হয়। এটা নিরাপত্তা বহনকারী এক প্রকার অসুদীয়[টীকা ১] বন্ড যা আইরিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাইজ বন্ড কোম্পানি লিমিটেড (Prize Bond Company Limited)-এর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়। প্রাইজবন্ডকে লটারি বন্ডও বলা হয় এবং প্রাইজবন্ড ভাঙিয়ে যেকোনো সময় ব্যাংক থেকে সাধারনত টাকা ফেরত নেওয়া যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৬ টি সিরিজের নাম্বার আছে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৫৬ সালের অর্থব্যবস্থা (বিবিধ) আইন[১] হল প্রাথমিক আইন যার অধীনে বন্ড অনুমোদিত হয় এবং একই ধারনায় ও একই সময়ে প্রিমিয়াম বন্ড নামে যুক্তরাজ্যে অনুরূপ ধারণার প্রবর্তিত হয়। ১৯৫৭ সালের মার্চ মাসে সর্বপ্রথম এ বন্ড বিক্রি করা হয় এবং একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বন্ডের প্রথম ভাগ্যপরীক্ষা বা ড্র (draw) অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ব্যাংক অফ আয়ারল্যান্ড (Bank of Ireland) সরকারের তহবিলকারী হিসেবে পরিকল্পনাটি করেছিল।
বিভিন্ন দেশের প্রাইজবন্ড
[সম্পাদনা]যুক্তরাজ্য
[সম্পাদনা]যুক্তরাজ্যে প্রাইজবন্ড অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম বন্ড নামে ছাড়া হয়।
বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে এটি সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে। বাংলাদেশে প্রথম চালুকৃত প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা; পরে ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।[২]
ভারত
[সম্পাদনা]ভারতে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড বিদ্যমান রয়েছে।
পাকিস্তান
[সম্পাদনা]অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানে প্রাইজবন্ড ছাড়া হয়;[৩] যা বিভিন্ন সরকারী, আধা-সরকারী ও বে-সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে কিনতে পাওয়া যায়। সেখানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড রয়েছে।
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ সরকার এর উপর ২০% কর ধার্য করেছে, তবে তা সুদ নয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Finance (Miscellaneous Provisions) Act, 1956 (Part V)"। ২৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ [১]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬।