মাস হলো সময় গণনা করার একটি একক, যা পঞ্জিকাতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত চাঁদের পূর্ণ একটি পরিক্রমকালের সাথে এর সম্পর্ক আছে। মাসের ধারণার উদ্ভব হয় চাঁদের কলা হতে। এধরনের মাসকে চান্দ্র মাস বলা হয়ে থাকে। পুরাতত্ত্ববিদেরা পঞ্জিকা হিসাবে ব্যবহৃত মাপকাঠি পেয়েছেন, যা দেখে বোঝা যায়, প্যালিওলিথিক যুগ হতে মানুষ চাঁদের কলার ভিত্তিতে মাস হিসাব করে আসছে।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে গড়ে মাসের দৈর্ঘ্য হয় ৩০.৪১৬৭ দিন। যদি অধিবর্ষ না হয় তাহলে ৪.৩৪৫ সপ্তাহ এবং ৩০.৫ দিনের মাস হয়। আর যদি অধিবর্ষ হয় তাহলে ৪.৩৫৭ সপ্তাহ এবং ৩০.৪৩৬৮৭৫ দিনের মাস হয়।
বিখ্যাত স্মৃতিসহায়ক ত্রিশ দিনের সেপ্টেম্বর মাসের দৈর্ঘ্য ইংলিশ ভাষার বিশ্বে শিক্ষা প্রদানে সর্বাপেক্ষা সাধারণ রাস্তা। একের হাতের চার আঙুলের গাট এবং তাদের মধ্যে মাসের দৈর্ঘ্য স্মরণ করতে ব্যবহার করা যায়। দুই হাতের মুঠ একত্র করে প্রত্যেকে মাস হিসেবে তালিকাভুক্ত করা যায়। মুঠের উচু অংশকে ৩১ দিন এবং নিচু অংশকে ৩০ দিন ধরে ১২ মাসে ভাগ করা যায়। যখন এক হাতের মুঠ হিসাবে করে জুলাইতে পৌছায়, তখন দ্বিতীয় হাতের মুঠ এক করে মুঠের উচু অংশকে আগস্ট হিসেবে শুরু করা হয়।
এই বর্ষপঞ্জিটি ফরাসি বিপ্লব সময় প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং ফরাসি সরকার একে ১৭৯৩ সাল থেকে প্রায় বারো বছরের ব্যবহার করেছিল। এটি ১২ মাসের বর্ষপঞ্জি এবং প্রত্যেক মাস ৩০ দিনের ছিল। ১০ দিনে ১ সপ্তাহ যাকে বলা হতো দেকাদেস। একে তিন মাস করে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত পাচ অথবা ছয় দিন যথাযথ যোগ করার প্রয়োজন বোধ হয়েছে ক্রান্তি বছর জন্য যা প্রত্যেক বছরের শেষে মাস গুলোর পরে স্থাপিত করা হতো। প্রত্যেক চার বছর পর একটি অধিবর্ষ ছিল যাকে বলা হতো ফ্রানচাড। এইটি শরত্কাল থেকে শুরু হতো:
সিংহলি বর্ষপঞ্জি হল বুদ্ধ বর্ষপঞ্জি যা সিংহলি ভাষায় নামগুলোর সঙ্গে শ্রীলঙ্কাতে বর্ষপঞ্জি হিসেবে ব্যবহার হয়। প্রত্যেক পূর্ণিমা পয়, একটি বুদ্ধ চান্দ্রমাসের শুরু চিহ্নিত করে। প্রথম মাস হল ভেসাক। সিংহলি এবং তামিল নব্বর্ষ শুরু হয় হিন্দু সৌর বর্ষপঞ্জির অনুসারে (সাধারণত ১৪ এপ্রিল), যা বুদ্ধ বর্ষপঞ্জিতে সম্পর্কহীন ঘটনা।
প্রাচীন মিশরীয় লোকেরা একটি বর্ষপঞ্জির ব্যবহার করতো যা ৩৬৫ দিন দীর্ঘ ছিল। বর্ষপঞ্জিকাটি ১২ মাসে ভাগ করা ছিল এবং প্রত্যেক মাস ৩০ দিনে ভাগ ছিল। বছর শেষে অতিরিক্ত ৫ দিন যোগ করা হতো। মাস গুলো ৩ সপ্তাহে ভাগ করা ছিল এবং প্রত্যেক সপ্তাহ ১০ দিনে ভাগ ছিল। কারণ প্রাচীন মিশরীয় বছর সৌর বছরের চেয়ে এক চতুর্থাংশ কম ছিল।