লিংগালা ভাষা
লিংগালা | |
---|---|
Ngala | |
Lingála | |
দেশোদ্ভব | কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, অ্যাঙ্গোলা ও দক্ষিণ সুদান |
অঞ্চল | কঙ্গো নদী |
মাতৃভাষী |
|
নাইজের-কঙ্গো
| |
উপভাষা | |
African reference alphabet (Latin), Mandombe script | |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা |
|
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-১ | ln |
আইএসও ৬৩৯-২ | lin |
আইএসও ৬৩৯-৩ | lin |
গ্লোটোলগ | ling1269 [৩] |
C30B [৪] | |
লিঙ্গুয়াস্ফেরা | 99-AUI-f |
লিংগালা ভাষার বক্তাদের ভৌগোলিক বিতরণ, গাঢ় সবুজ রঙ দিয়ে মাতৃভাষী বক্তাদের অঞ্চল নির্দেশ করা হয়েছে | |
লিংগালা ভাষা মধ্য আফ্রিকার একটি বান্টু ভাষা-ভিত্তিক ক্রেওল ভাষা। এটি কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র দেশটির উত্তর-পশ্চিমভাগে ও দেশটির রাজধানী কিনশাসা নগরীর দক্ষিণে এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র দেশটির উত্তরভাগে, বিশেষ করে দেশটির রাজধানী ব্রাজাভিল নগরীর অংশবিশেষে প্রচলিত। এছাড়া ভাষাটি অ্যাঙ্গোলা, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ সুদানের দক্ষিণভাগে অপেক্ষাকৃত কম মাত্রায় প্রচলিত। লিংগালা ১ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি মানুষের মাতৃভাষা ও প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ভাষা। ফলে সব মিলিয়ে ভাষাটির মোট বক্তাসংখ্যা ৪ কোটি থেকে সাড়ে ৪ কোটি।
লিংগালা কথাটির অর্থ বাংগালা (নদীর) মানুষের ভাষা। ভাষাটি নাইজার-কঙ্গো ভাষা পরিবারের বেনুয়ে-কঙ্গো শাখার বোবাঙ্গি নামক একটি বান্টু ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়েছে। বোবাঙ্গি ভাষাটি কঙ্গো নদী, মালেবো জলাশয় ও উবাঙ্গি নদীর নৌপরিবহনভিত্তিক বণিকদের ভাষা ছিল। খ্রিস্টীয় ধর্মপ্রচারকেরা ও ঔপনিবেশিক শাসকেরা সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বোবাঙ্গি ভাষার একটি রূপভেদকে ১৯শ শতকের শেষ দিকে স্থানীয় জনগণের সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা শুরু করলে লিংগালা ভাষার উদ্ভব ঘটে। আজও লিংগালা ভাষাটি কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ভাষা হিসেবে গণ্য হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Meeuwis, Michael (২০২০)। A Grammatical Overview of Lingala: Revised and extended edition। München: Lincom। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 9783969390047।
- ↑ senemongaba, Auteur (আগস্ট ২০, ২০১৭)। "Bato ya Mangala, bakomi motuya boni na mokili ?"। আগস্ট ২৮, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৯, ২০২২।
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Lingala-Bangala"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ Jouni Filip Maho, 2009. নতুন আপডেট গাথ্রি তালিকা অনলাইন