সোফিস ভার্ডেন
লেখক | ইয়স্তেন গার্ডার |
---|---|
মূল শিরোনাম | Sophie's Verden সোফির জগৎ |
অনুবাদক | জী এইচ হাবীব |
প্রচ্ছদ শিল্পী | ধ্রুব এষ |
দেশ | নরওয়ে |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | দর্শন |
প্রকাশক | সন্দেশ |
প্রকাশনার তারিখ | এপ্রিল ২০০২ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৫৪০ |
আইএসবিএন | [[বিশেষ:বইয়ের_উৎস/আইএসবিএন 948-8088-77-6 {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম|আইএসবিএন ৯৪৮-৮০৮৮-৭৭-৬ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম]] {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ অক্ষর |
সোফির জগৎ (নরওয়েজীয় ভাষায় সোফির জগৎ) নরওয়েজীয় লেখক ইয়স্তেন গার্ডার রচিত একটি দার্শনিক উপন্যাস। উপন্যাসের ছলে সোফির জগতে মূলত পশ্চাত্য দর্শনের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]উপন্যাসের ছলে সোফি্স ভার্ডেন পাঠকের সামনে তুলে ধরেছে পশ্চাত্য দর্শনের একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু প্রাঞ্জল ইতিহাস। এই ইতিহাস পরিবেশনের যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে তা অনেকটা রহস্যোপন্যাসের মত। একে একে তুলে ধরা হয়েছে, দার্শনিক ভাবনা চিন্তার ক্রম বিকাশের বিবরণ।
বইটি মূলত পাশ্চত্য দর্শনের এবং অংশত পাশ্চত্য ইতিহাস। একে সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব ইতিহাসের বই বলা যায় না । এতে ইসলাম, চীনা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উল্লেখ নেই বললেই চলে।
মূল কাহিনী
[সম্পাদনা]উপন্যাসের এক মূল চরিত্র সোফি অ্যামুন্ডসেন (এক নরওয়েজিয় কিশোরী) একদিন তার বাসায় ডাকবক্সে দেখে অজানা একজন তার জন্য দুটি চিঠি রেখে গেছে। চিঠিতে দুটি প্রশ্ন লেখা, "তুমি কে?" আর "পৃথিবীটা কোথা থেকে এল"। এরপর সম্পূর্ণ উপন্যাসে আলবার্ট নক্স (দ্বিতীয় মূল চরিত্র) নামের এক রহস্যময় ব্যক্তি কৌতূহল উস্কে দেওয়া প্রশ্ন দু'-খানি দ্বারা সূত্রপাত ঘটান প্রাক সক্রেটিস যুগ থেকে সার্ত্রে পর্যন্ত পশ্চাত্য দর্শনের রাজ্যে এক অসাধারণ অভিযাত্রার। তিনি প্রথম পর পর বেশ কয়েকটি চিঠির মাধ্যমে এবং পরে সশরীরে সোফির সামনে তুলে ধরেন পশ্চাত্য দর্শনের সব মৌলিক প্রশ্ন।
এই উপন্যাসে যেসব দার্শনিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এখানে তাদেরই তালিকা করা হয়েছে। এখনও অসম্পূর্ণ।
দার্শনিকবৃন্দ
[সম্পাদনা]- ক্সেনোফানিজ (Xenophanes - Ξενοφάνης) - পুরাণ মানুষেরই মতামত ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রকৃতিবাদী দার্শনিক
[সম্পাদনা]- মিলেতুসের তিন মহান দার্শনিক
- থেলিস (Thales) - পৌরাণিক অনেক কিছুতেই বিশ্বাস করতেন।
- আনাক্সিমান্দ্রোস (Anaximander - Ἀναξίμανδρος) - অসীমে মিলিয়ে যাওয়া বহুবিশ্ব।
- আনাক্সিমেনিস (Anaximenes - Άναξιμένης) - সব কিছুর উৎস নিশ্চয়ই বাতাস কিংবা বাষ্প।
- এলেয়াটিক দর্শন
- পার্মেনিদিস (Parmenides - Παρμενίδης) - কোন কিছুই পরিবর্তিত হয় না, আমাদের ইন্দ্রিয়গত প্রত্যক্ষণ নির্ভরযোগ্য নয়।
- ইরাক্লেইতোস (Heraclitus - Ἡράκλειτος) - সব কিছুই বয়ে চলে, ইন্দ্রিয়গত প্রত্যক্ষণ নির্ভরযোগ্য।
- এম্পেদোক্লেস (Empedocles - Ἐμπεδοκλῆς) - পার্মেনিদিস ও ইরাক্লেইতোসের মধ্য সমন্বয়ক।
- আনাক্সাগোরাস (Anaxagoras - Ἀναξαγόρας) - প্রকৃতি চোখের অগোচর অতি ক্ষুদ্র অসংখ্য কণা দিয়ে গঠিত।
দার্শনিক ধারা
[সম্পাদনা]অন্যান্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]- Snorri Sturluson, তার সংগৃহীত কাব্যগাঁথার উল্লেখ আছে। বাংলা অনুবাদক নামটি পদটীকায় উল্লেখ করেছেন।
- হোমার
- Hesiod
পুরাণ
[সম্পাদনা]- নর্ডিক পুরাণ
- থ্রিম-এর গাঁথা
- Edda
অনুবাদ
[সম্পাদনা]বইটি এ যাবৎ মোট ৪৮ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলায় এর অনুবাদটি প্রকাশ করে সন্দেশ। এর অনুবাদক জী এইচ হাবীব। তিনি সোফিস্ ভার্ডেনের ইংরেজি অনুবাদ সোফিস্ ওয়ার্ল্ড (Sophies World) (অনুবাদক: পঅলেট মোলার) থেকে বইটি অনুবাদ করেছেন।