সৌদি আরব জাতীয় ক্রিকেট দল
সংঘ | সৌদি আরব ক্রিকেট ফেডারেশন |
---|---|
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (২০০৩) সহযোগী (২০১৬) |
আইসিসি অঞ্চল | এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | ২০১৫ ষষ্ঠ বিভাগ |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | সৌদি আরব বনাম কুয়েত (কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া; ১৩ জুন ২০০৪) |
২৯ নভেম্বর ২০১৬ অনুযায়ী |
সৌদি আরব জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সৌদি আরব এর প্রতিনিধিত্বকারী দল। সৌদি ক্রিকেট সেন্টার সৌদি আরব দল গঠন করে। দলটি ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর অনুমোদিত সদস্যপদ লাভ করে[১] এবং ২০১৬ সালে সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি ট্রফি তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌদি আরবের অভিষেক ঘটে। এর পর থেকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলোতে সৌদি আরব নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ২০১৪ এসিসি এলিট লীগ-এ ২য় স্থান লাভ করার ফলে সৌদি আরব প্রথমবারের মত বিশ্ব ক্রিকেট লীগ-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সৌদি আরবের ২০১৫ ষষ্ঠ বিভাগ এ অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও, দলের সদস্যগণ আয়োজক দেশের ভিসা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সৌদি আরবকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে হয়।[২]
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা
[সম্পাদনা]২০০৪ সালের এসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌদি আরব দলের অভিষেক ঘটে, তবে সেই টুর্নামেন্টে তারা ১ম রাউন্ড অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়। তারা ২০০৬ সালের টুর্নামেন্টেও ১ম রাউন্ড অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয় তবে সেই টুর্নামেন্টে ব্রুনাই এর বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪৯৯ রান করার অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে। এর আগে ঐ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত মিডল ইস্ট কাপে সৌদি আরব ৪র্থ স্থান লাভ করে।
তর্কাতীতভাবে সৌদি আরবের ক্রিকেটের সেরা মুহূর্ত আসে ২০০৮ এসিসি ট্রফি এলিট টুর্নামেন্টে, যেখানে তারা পূর্বে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত দলকে ২৯ রান পরাজিত করে।[৩]
এসিসি ট্রফি এলিট ও চ্যালেঞ্জ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেলে, ২০০৬ এসিসি ট্রফিতে তাদের পারফরম্যান্সের জন্য সৌদি আরব ২০০৮ প্রতিযোগিতার এলিট বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু সেখানে ১০ম স্থান লাভ করে তারা অবনমিত হয়। অবনমনের ফলে তাদের ২০০৯ এসিসি ট্রফি চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তারা অংশগ্রহণ করে নি। তবে পরের বছর ২০১০ সালের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ২য় স্থান লাভ করে এবং আবার এলিট বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়াও সৌদি আরব টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটেও অংশগ্রহণ করে। এই ফরম্যাট এর ২০০৭ এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপ এ অংশ নিয়ে তারা গ্রুপপর্ব অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয় এবং ২০০৯ এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপ এ তারা ৮ম স্থান লাভ করে।
টুর্নামেন্ট ইতিহাস
[সম্পাদনা]এসিসি ট্রফি
[সম্পাদনা]- ২০০৪: গ্রুপপর্ব (বি গ্রুপে ৩য়; ৪ দল)
- ২০০৬: ১০ম (১৭ দল)
- ২০০৮ এলিট (এসিসি ১ম বিভাগ): ১০ম (১০ দল)
- ২০১০ চ্যালেঞ্জ (এসিসি ২য় বিভাগ): ২য় (৮ দল)
- ২০১২ এলিট (এসিসি ১ম বিভাগ): ৯ম (১০ দল)
- ২০১৪ এলিট লীগ (এসিসি ২য় বিভাগ): ২য় (৬ দল)
- ২০১৬ এলিট লীগ (এসিসি ২য় বিভাগ): যোগ্যতা অর্জন করেছে
এসিসি টুয়েন্টি২০ কাপ
[সম্পাদনা]- ২০০৭: গ্রুপপর্ব (বি গ্রুপে ৪র্থ; ৫ দল)
- ২০০৯: ৮ম (১২ দল)
- ২০১১: ১০ম (১০ দল)
- ২০১৩: যোগ্যতা অর্জন করে নি
- ২০১৫: ৩য় (৬ দল)
- ২০১৭: যোগ্যতা অর্জন করেছে
রেকর্ডসমূহ
[সম্পাদনা]এসিসি প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের পরিসংখ্যান।
বর্তমান স্কোয়াড | |||
---|---|---|---|
নাম | ম্যাচ | রান | উইকেট |
আবদুল কাদির | ৪ | ৫ | ০ |
মোহাম্মদ নাজিম | ৫ | ১০২ | ০ |
আবদুল্লাহ কুরেশি | ৩ | ১ | ১ |
আফজাল সালিম | ৫ | ২৯৯ | ৪ |
আকরাম আসলাম | ৪ | ১৫ | ৩ |
ফাহিম আফরাদ | ৫ | ৭ | ১০ |
সমবুরুদ্দিন মোহাম্মদ | ১৪ | ৩১৯ | ৬ |
হুসেইন আনওয়ার | ১০ | ১০৫ | ১১ |
ইবরাউল হক | ৫ | ১১২ | ৯ |
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ | ৭ | ৫৮ | ৫ |
মোহাম্মদ নাদিম | ৯ | ৪৭৬ | ১৬ |
শাহবাজ রাশিদ | ৫ | ৩৬৬ | ১ |
শোয়েইব আলি | ৫ | ১৬৪ | ১১ |
উসমান কুদ্দুসি | ২ | ০ | ০ |
উল্লেখযোগ্য সাবেক খেলোয়াড় | |||
---|---|---|---|
নাম | ম্যাচ | রান | উইকেট |
শফিক আহমেদ | ১০ | ১৬৮ | ১৪ |
মোহাম্মদ আফজাল | ৮ | ৩৫৩ | ৮ |
হুসেইন ভাট্টি | ২ | ৫৮ | ১০ |
খালিদ বাট | ৫ | ১১৫ | ০ |
মোহাম্মদ রমজান | ৪ | ২ | ৬ |
সর্বোচ্চ রান
[সম্পাদনা]হাম্মাদ সায়ীদ – ১৮১ বনাম ভুটান - দ্যা পাদাং, সিঙ্গাপুর, ৮ জুন ২০১৪
শাহবাজ রাশিদ – ১৩৮* বনাম মালদ্বীপ - ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড, সৌদি, ১১ জুন ২০১৪
খালিদ বাট – ১১০ বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত - রয়্যাল মিলিটারি কলেজ, কুয়ালালামপুর, ২৫ জুলাই ২০০৮
শাহবাজ রাশিদ – ১০৮ বনাম ভুটান - দ্যা পাদাং, সিঙ্গাপুর, ৮ জুন ২০১৪
মোহাম্মদ আফজাল – ১০৩ বনাম থাইল্যান্ড - এআইটি গ্রাউন্ড, ৯ ডিসেম্বর ২০১০
আফজাল সালিম – ১০০* বনাম মালদ্বীপ - ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড, সৌদি, ১১ জুন ২০১৪
সমবুরুদ্দিন মোহাম্মদ – ৮৭* বনাম মালদ্বীপ - ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড, সৌদি, ১১ জুন ২০১৪
সেরা বোলিং ফিগার
[সম্পাদনা]হুসেইন ভাট্টি – ৭/৬৫ বনাম ব্রুনাই - পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই, ৫ ডিসেম্বর ২০১০
শোয়েইব আলি – ৫/২৫ বনাম মালদ্বীপ - থাইল্যান্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক, ১১ ডিসেম্বর ২০১০
শফিক আহমেদ – ৫/৪৫ বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত - রয়্যাল মিলিটারি কলেজ, কুয়ালালামপুর, ২৫ জুলাই ২০০৮
মোহাম্মদ রমজান – ৪/৩৮ বনাম ভুটান - আইসিসি অ্যাকাডেমি ওভাল #২, দুবাই, ১০ অক্টোবর ২০১২
ইবরাউল হক – ৪/৪২ বনাম বাহরাইন - ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড, সৌদি, ১০ জুন ২০১৪
বর্তমান স্কোয়াড
[সম্পাদনা]- নিচের তালিকায় ২০১০ এসিসি ট্রফি চ্যালেঞ্জ এর স্কোয়াড এর ১৪ জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে:[৪]
- শোয়েইব আলি (অধিনায়ক)
- হাম্মাদ সায়ীদ
- শফিক আহমেদ
- হুসেইন আনওয়ার
- আফজাল মুহাম্মদ
- ফাইক হাবিব
- মোহাম্মদ আবদুল্লাহ
- ফাহিম আফরাদ
- মোহাম্মদ থাইব (উই)
- আমির সাজ্জাদ
- সমবুরুদ্দিন মোহাম্মদ (উই)
- উমর বাইগ
- সমর হোসেইন
- খুররম কারামত
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "CricketArchive – Saudi Arabia page"। CricketArchive। ৬ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ Other matches played by Saudi Arabia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে – CricketArchive. Retrieved 17 September 2015.
- ↑ "Saudi Arabia v UAE"। CricketArchive। ২৫ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ "ACC Trophy Challenge 2010 – Saudi Arabia"। Asian Cricket Council। ৫ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১০।