মাগক-ই-আত্তারি মসজিদ
মাগক-ই-আত্তারি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থা | মসজিদ (সাবেক) গালিচা জাদুঘর |
অবস্থান | |
অবস্থান | বোখারা, উজবেকিস্তান |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী পারস্য |
সম্পূর্ণ হয় | ৯ম-১০ম শতাব্দী[১] |
মাগোক-ই-আতারি মসজিদ হলো উজবেকিস্তানের বুখারার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স লায়াব-ই হাউজের একটি অংশ। মসজিদটি বোখারার ঐতিহাসিক কেন্দ্রে, পো-ই-কল্যাণের প্রায় ৩০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, তোকি তেলপাক ফুরুশনের ব্যবসায়িক কেন্দ্রের ১০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং লায়াব-ই হাউজের ১০০ মিটার পূর্বে অবস্থিত। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অংশ।[২] বর্তমানে, মসজিদটি কার্পেট যাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এটি অনুমান করা হয় যে ৯ম থেকে ১০ম শতাব্দীতে প্রাক-ইসলামী যুগের একটি জরাথুস্ট্রবাদ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।[১] আরব বিজয়ের আগে মাগোক-ই আত্তারির স্থানে একটি বাজার ছিল। এটি প্রতিমা, পশন এবং মশলা - আতর (পারফিউম) এবং অন্যান্য পণ্যের বাজার ছিল। এগুলো ছাড়াও এই জায়গার নিকটে পূর্বে চাঁদের (মোখ) মন্দির ছিল। বোখারায় প্রথম সিনাগগটি নির্মাণের আগে ইহুদিরা মুসলমানদের সাথে মসজিদে জায়গা ভাগ করে নিয়েছিল। কেউ কেউ বলে যে বুখারীয় ইহুদি ও মুসলমানরা একই সময়ে একই জায়গায় একই সাথে প্রার্থনা করতো। অন্যান্য উৎস বলে যে ইহুদিরা মুসলমানদের পরে প্রার্থনা করতো। মঙ্গোলীয় আক্রমণের আগের মধ্য এশিয়ার প্রাচীনতম বেঁচে থাকা মসজিদগুলোর একটি এবং বুখারার কয়েকটি বেঁচে থাকা ভবনগুলোর মধ্যে একটি হিসাবেও মসজিদটি উল্লেখযোগ্য। দ্বাদশ শতাব্দীতে বোখারাতে কারা-খানিদদের রাজত্বকালীন সময়ে মসজিদটি যথেষ্ট পরিমাণে পুনর্নির্মাণ এবং পুনরায় সাজানো হয়েছিল। এর দক্ষিণে একটি নতুন প্রধান অট্টালিকার সদর বহির্ভাগ তৈরি করা হয়েছিলো।[৩] পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, এটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এবং পূর্বের জমিতে আইওয়ান সহ একটি নতুন দরজা নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে মসজিদটি আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।[৪]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]ভবনটি ১২ x ৭.৫ বর্গমিটার আয়তক্ষেত্রাকার জমির উপর অবস্থিত। ভবনের মূল কেদ্রের সমতল ছাদে খিলানযুক্ত জানালা সহ দুটি অষ্টভুজাকার বাইজেন্টাইন ধরনের থোলোব্যাত আছে। এতে অষ্টভুজাকার গম্বুজও রয়েছে। মসজিদের মেঝে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪.৫০ মিটার নিচে।[৩] সুতরাং, মসজিদে এর নামে "মাগোক-ই" সংযোজন করা হয়েছে যার অর্থ "গর্তে" বা "পাতালে"। আর একটি "অন্তর্ভূমি" মসজিদ হলো মাগোক-ই-কুরপা মসজিদ, যা প্রায় দেড়শো মিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। নারশাখি তার বুখারার ইতিহাসে (৯৯০ খ্রি।) বইয়ে পূর্বের মন্দিরের স্থানে নির্মিত মসজিদটির নাম রেখেছিলেন "মাগোক", অর্থাৎ "গর্তে", কারণ তখনো মসজিদের অর্ধেকটি মাটির স্তরের আড়ালে ছিলো। দক্ষিণ সদর বহির্ভাগটি সর্বাধিক সমৃদ্ধ ও সজ্জিত এবং এটি ছিল সাবেক প্রধান প্রবেশদ্বার। মসজিদের অলঙ্কারগুলি মূলত কাটা এবং খোদাই করা ইট এবং ফুলের মোটিফ সহ পোড়ামাটির মোজাইক দিয়ে তৈরি করা হয়। আইওয়ানের খিলানটি দেওয়ালের দুটি কলামের উপর স্থাপির এবং কঞ্চি দিয়ে সজ্জিত। আইওয়ানের প্রতিটি পাশে, আলংকারিক নিদর্শনযুক্ত তিনটি আয়তক্ষেত্রাকার কাঠামো একটির আরেকটি দিয়ে সাজানো হয়েছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]