Location via proxy:   [ UP ]  
[Report a bug]   [Manage cookies]                
বিষয়বস্তুতে চলুন

শ্বাসক্রিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেলুলার শ্বাস প্রশ্বাসের চিত্র

যে প্রক্রিয়ায় শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে জীব দেহের কোষে অক্সিজেন পরিবাহিত হয় এবং দেহ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারিত হয় তাকে শ্বাসক্রিয়া বলে। মানুষের প্রধান শ্বাস অঙ্গ হলো ফুসফুস।

সকল উন্নত প্রাণীদের কোষীয় শ্বসনের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন। মানুষ যখন শ্বাস গ্রহণ করে তখন নাসারন্ধ্র দিয়ে অক্সিজেন শ্বাসনালি পথে ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছায়। ফুসফুসের অ্যালভিওলাস ও রক্তচাপের পার্থক্যের জন্য অক্সিজেন ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ধমনীর রক্তে প্রবেশ করে দেহের কোষ গুলো তে পৌঁছায়। অন্যদিকে শর্করা জারণের ফলে কোষে অপদ্রব্য হিসেবে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাই অক্সাইড দেহের জন্য খুুবই ক্ষতিকর। কার্বন ডাই অক্সাাইড কোষ থেকে রক্তে প্রবাহিত হয়ে ফুসফুুুসে এসে পৌঁছায়। এরপর ফুসফুস থেকে নাসারন্ধ্র দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড দেহ থেকে বায়ুতে উন্মুক্ত হয়। শ্বাসক্রিয়া বা "বহিরাগত শ্বসন", ফুসফুসের মধ্যে বায়ু নিয়ে আসে যেখানে গ্যাস বিনিময়টি ক্ষুদ্র রন্ধ্রে সঞ্চালনের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। শরীরের সংবহনতন্ত্র থেকে এই গ্যাসগুলিকে স্থানান্তর করে, যেখানে "সেলুলার শ্বসন" ঘটে।[]

সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীদেহে শ্বাসকার্যের জন্য শ্বাসনালি বা ট্রাকিয়া নামক একটি নালি রয়েছে। যা অক্সিজেন কে ফুসফুসে নেয় যায় আবার কার্বন ডাই অক্সাইডকে ফুসফুস থেকে বের করে দেয়। প্রতি মিনিটে শ্বাসযন্ত্র চক্র সংখ্যা শ্বাস বা শ্বাসক্রিয়ার হার হচ্ছে জীবনের চারটি প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। স্বাভাবিক অবস্থায় শ্বাস গভীরতার হারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং অবচেতনভাবে , বেশ কয়েকটি হোমস্ট্যাটিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা ধমনীর মধ্যে অবিরত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেন আংশিক চাপ রাখে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিস্থিতিতে রক্তের কার্বন ডাই অক্সাইডের আংশিক চাপ রাখা, অতিরিক্ত বাহ্যিক তরল (ইসিএফ) এর পিএইচ-এর কঠোর নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। উচ্চ-শ্বাস (hyperventilation) এবং নিম্ন-শ্বাস (hypoventilation), যা ক্রমশ কার্বন ডাই অক্সাইডের ধমনীর আংশিক চাপকে হ্রাস করে এবং বৃদ্ধি করে, প্রথম ক্ষেত্রে ECF এর পিএইচপি বৃদ্ধি পায় এবং দ্বিতীয়টি পিএইচ হ্রাস পায়। দুটিই উদ্বেগজনক উপস্বর্গ।

শ্বাসকার্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপ আছে। এটি বক্তৃতা,হাসি এবং আবেগগুলির একই অভিব্যক্তিগুলির জন্য একটি প্রক্রিয়া সরবরাহ করে। এটি কাশি এবং হাঁচির বিশেষ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। পশুপাখিরা দেহের তাপ বের করে দিতে পারে না, কারণ তাদের যথেষ্ট ঘাম গ্রন্থি অভাব রয়েছে, তারা ঊর্ধ্বশ্বাস এর মাধ্যমে বাষ্পীভবন দ্বারা তাপ হারাতে পারে।

প্রতিটি জীব বৈচিত্র্য প্রকাশ পায় এই শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে।

শ্বাস অঙ্গ

[সম্পাদনা]

সবাত শ্বসনের সময় সকল জীব পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। যে অঙ্গ গ্যাসীয় আদান-প্রদানে অংশ নেয় তাকে শ্বাস অঙ্গ বলা হয়। উদ্ভিদের নির্দিষ্ট কোন শ্বাস অঙ্গ থাকে না। প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শ্বাস অঙ্গ দেখা যায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Anatomy and Physiology for Nurses, Evelyn Pearce,1973,ISBN 0 571 04699 1 page 262