Anti-establishment

This paper discusses the historical evolution of the nationality and linguistic rights movement in Welsh, Scotland, Catalonia, Myanmar and Bangladesh. In this perspective, it analyzes the association of nationality with such contrasting phenomenon like building up of a nation state and unshackling the bonds of a nation state. Special regard has been given to the emergence of a new kind of nationality-thinking taking place within the Catalonian movement for autonomy and language-regeneration

সাহিত্যের পাতায় রাজহংসকে আমরা চিরকালিন বিশুদ্ধতার প্রতীক হিসেবেই জানি। কবিতায় ভালোবাসার চিত্রকল্প হিসেবে রাজহংসের উদ্ভাস কাব্যিক ব্যঞ্জনাকে দিয়েছে আকাশছোঁয়া উচ্চতা। তাদের মধ্যে ব্যভিচার নেই, পরকিয়া নেই, নেই কোনো বহুগামিতা। প্রকৃতির ইতিহাস বলে, একটি হংস-হংসীর যুগল আজন্ম-বন্ধনে জড়িয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মৃত্যু ছাড়া তাদের সখ্যতা কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না। ১৯২৩ সালে আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের (১৮৬৫–১৯৩৯) ‘লিডা অ্যান্ড দ্য সোয়ান’ কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর সাহিত্যের পাঠকরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলেন, প্রকৃতির ইতিহাস আর সাহিত্যের ইতিহাসের স্রোতধারা চিরকাল সমান্তরাল রেখায় অগ্রসর হয় না। বিশ্বনন্দিত এই কবিতায় আমরা রাজহংসকে প্রত্যক্ষ করেছি একজন সফল ও কৌশলী ধর্ষকের ভূমিকায়। ঠিক পঞ্চান্ন বছর পর, ক্যানাডার গল্পকার এলিস মানরো এই রাজহংসকেই ধর্ষকের চিত্রকল্প হিসেবে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘ওয়াইল্ড সোয়ান্স’ টাইটেলের শর্ট ফিকশনে। সম্প্রতি মানরোর প্রয়াণের পর, সাহিত্যে চিত্রকল্প হিসেবে রাজহংস পাখিটি আবারও শুরু করেছে আনাগোনা সাহিত্য-বোদ্ধাদের ভাবনার আকাশে।

গ্রামীণ অর্থনীতির প্রধান লেনদেনের কেন্দ্র হল হাট। আদি মধ্যকালীন বাংলার বিভিন্ন রাজশক্তি কর্তৃক ভূমিদানের উদ্দেশ্যে জারিকৃত তাম্রশাসনে অনেক সময় হট্ট, হট্টিকা, হাটক প্রভৃতি শব্দগুলি লক্ষ্য করা যায়। উক্ত শব্দগুলি বর্তমান হাটের সমার্থক। তাম্রশাসনে দেখা যায় হাটগুলি উল্লিখিত হয়েছে দানকৃত জমির সীমা বর্ণনার সময় অথবা দানকৃত ভূমির মধ্যেই। হাটের নামগুলি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে হাটের অবস্থান, মালিকানা এবং আয়তনও স্পষ্ট হয়। হাট দানের সময় অনেক ক্ষেত্রেই হাটের সহিত ঘাট দানের প্রসঙ্গও পরিলক্ষিত হয়। নৌঘাটের নিকট হাটের সহাবস্থান একই সাথে ওই হাটে আনীত পণ্যের বিক্রয়ের সম্ভবনাকে নির্দেশ করে। তা ছাড়া তাম্রশাসনে হাটের সঙ্গে বিভিন্ন বৃক্ষজাত পণ্য, যেমন: আম, নারিকেল, পান, সুপারি প্রভৃতির উল্লেখ থেকে হাটে ক্রীত-বিক্রীত সামগ্রীর ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া কতিপয় বণিক শ্রেণীর পরিবর্তিত চরিত্র হাটের সংখ্যাবৃদ্ধির সহিত সাযুজ্যপূর্ণ। আলোচ্য সময়ে কতিপয় বণিকেরা পরিণত হয়েছিল ধনী ভূপতি এবং গ্রামীণ বণিকে। ভূসম্পত্তি লাভ হেতু এই বণিকেরা প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ আরোহণ করেন মূলত অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সুবিধা, মর্যাদা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী উপার্জনের নিশ্চয়তার জন্য। উক্ত শ্রেণীর পোষকতায় বিভিন্ন বাগানজাত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটে। উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়ের জন্য বৃদ্ধি পায় হাটের সংখ্যাও। সুতরাং আদি মধ্যকালীন তাম্রশাসনগুলি অভিনিবেশ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে হাটগুলির ভূমিকা, হাটে ক্রীত-বিক্রীত পণ্য ও হাটের চরিত্র বিশ্লেষণ করাই আলোচ্য প্রবন্ধের অন্বিষ্ঠ।

আমি সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব, আইনী তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক তত্ত্বের আমার সংক্ষিপ্তসার একসাথে প্রকাশের হাজার পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে গেছি এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখতে সহায়তা করার জন্য, আমি ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে আমার উপস্থাপনাগুলির সংক্ষিপ্ত ভিডিও আপলোড করেছি।
(দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=Flof4Ic65ok
https://www.youtube.com/watch?v=Ipgmg05VVAg&t=355s
https://www.youtube.com/watch?v=-eNzASr8NCs&t=1s
এইভাবে সংক্ষিপ্ত এবং পাদটীকা থেকে মুক্ত পাঠ্যটি তখন এই ছোট খণ্ডে আলাদাভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। academia.edu আপলোড করা লেখাটি তারই অনুবাদ।

The folklore museum is one of the major teaching and educational agencies of the community as cultural heritage resources. It especially reflects the local or regional traditions, arts and culture. it is the perfect place to promote, educate and encourage awareness of our culture, arts and traditions. Folklore museum is the traditional and cultural study centre of our society. Moreover, it is the storehouse of various types of traditional, social and cultural objects of the different communities of society. In Indian context, folklore museums play a vital role to display the wealth and diversity of traditional cultural pattern of the different communities. In the view of folkloristics, folklore museum is regarded as institution of Passive Traditional Bearer (PTB). These museums also show the various aspects of the folklore and tribal lore of our society, which promotes our national integration and help visitors and researcher to acquire knowledge about cultural heritage. In the field of cultural studies, it is important to know about these matters. There are several folklore museums in India which has shown a wide range of traditional, cultural resources. In this paper, we have discussed the importance of folklore museums of India in the field of cultural study as cultural heritage resources through educational perspectives.

এই প্রবন্ধটি মূলত একটি গ্রন্থ পর্যালোচনা। প্রেক্ষাপট হিসেবে হাজির থাকছে শিক্ষক, অনুবাদক, লেখক, এবং বিউপনিবেশি চিন্তক কাজী মসিউর রহমানের (১৯৮৪-২০২১) সমাদৃত অনুবাদগ্রন্থ সুখের অর্থনীতি (২০২৩)। নামটিই বলে দেয় বইটি ভিন্ন এক অর্থনৈতিক আলাপের আহ্বান জানাচ্ছে, যার কেন্দ্রে উপস্থিত আছে বিশ্বায়ন কীভাবে গোটা পৃথিবীর সম্পদকে তার কেন্দ্রে হাজির করেছে আর বাকি পৃথিবীর তাবৎ স্থানিক জ্ঞান ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেছে। অবাধ সহযোগিতার নামে বিশ্বায়ন আসলে এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে গড়ে তুলেছে যেখানে বাজার, খাদ্য, শিক্ষা এবং কৃষি পুরোপুরি চলে গিয়েছে বেনিয়া কোম্পানির দখলে। শুধু নিয়ন্ত্রণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, একদিকে লোকালয়কে সর্বস্বান্ত করেছে আর অন্যদিকে অবাধ বাণিজ্যের নামে নানান কায়দায় সমস্ত পুঁজিকে জড়ো করেছে কিছু কর্পোরেশনের হাতে। আর এই মনুষ্যসৃষ্ট ব্যবস্থার বিপরীতে, লেখক প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে ‘স্থানীয়করণ’কে সামনে আনছেন যা বৈচিত্র্যের কথা বলে, সর্বপ্রাণের কথা বলে, এবং সর্বোপরি এক প্রতিবেশনির্ভর জীবনব্যবস্থার কথা বলে।

মুখ্য শব্দগুচ্ছ: বিশ্বায়ন, স্থানীয়করণ, স্থানীয় জ্ঞান, কৃষি-প্রতিবেশ।

Introdução: O sucesso eleitoral de outsiders, isto é, aqueles que constroem suas carreiras fora dos partidos políticos estabelecidos, não é novo, mas é cada vez mais presente na Europa, nos Estados Unidos e na América Latina. Como definir esse fenômeno e aplicar o conceito? Materiais e métodos: Através de pesquisa de alta sensibilidade nas bases Web of Science, Scopus,

আমরা এ মুহূর্তে যে পৃথিবীতে বসবাস করছি তাতে আমাদের জীবন চালানোর জন্যে অর্থনৈতিক পরিপূরণ অনিবার্য বিষয়। এটা ব্যক্তি বিশেষে কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে কিংবা বৈশ্বিকপরিমন্ডলে যে ভাবেই হোক না কেন।প্রত্যেক রাষ্ট্রের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারিত হলেও অর্থনৈতিকভাবে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা বিরাজমান। বর্তমান বিশ্বে একটিই অর্থনীতি, গ্লোবালক্যাপিটালিজম। এদিক থেকে মানুষ নিজেদের বায়োলজিক্যাল নিড পরিপোষণে যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, ঐতিহাসিক ভাবে দেখলে তা এরকম ছিল না। ব্যক্তির অর্থনৈতিক পরিপোষণের পরিমণ্ডল ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডল দুইটি ভিন্ন ছিল। আধুনিক রাজনীতি গ্রিক রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিচ্ছবি হলেও বর্তমানের এ  অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের অভিন্ন  পরিস্থিতিতে  মানুষের  মানবিকসত্তার চেয়ে প্রানিজসত্তার দিক অধিক প্রতিফলিত হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত ফিলসফির যে ডেভেলপমেন্ট, তা, বায়োলজি থেকে উৎসারিত। সত্তা হিসেবে মানুষ  তার পরিবেশে কেমন ভাবে বিচরণ করে, এক্ষেত্রে প্রাণী ও মানুষের পার্থক্যের জায়গা কেমন, মানুষ কোন পরিস্থিতিতে কেবল প্রানিজসত্তাকেই প্রতিফলিত করে, তা নৃতাত্ত্বিকভাবে বৈজ্ঞানিক কল্পে বিবেচ্য। এক্ষেত্রে মানুষের সত্তা সম্পর্কিত প্রশ্নকে ঐতিহাসিক পরম্পরায় নৃতাত্ত্বিকভাবে এর বিকাশ থেকে দেখা, বর্তমানে মানুষ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কেন মানবিক সত্তা থেকে সরে গিয়ে পাশবিক সত্তায় হাজির হচ্ছে, এ পাশবিকীকরণ প্রক্রিয়া কী,জীবনের অস্তিত্ব কী, প্রানিজ ও মানবিক সত্তায় জীবনের ধারণা সুস্পষ্ট করে জীবনের অর্থ কী, প্রানিজ ও মানবিক সত্তার বৈপরীত্যের ভিত্তিতে জীবনের অর্থ নির্ধারণ আলোচনার বিষয়। এ আলোচনায় পরিবেশের সাথে প্রানির সম্পর্ক ও জগতের সাথে মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Paper written in Bengali. Through a cursory discussion of the freedom struggle the article argues that the strand led by Gandhi and the Congress party prevailed. The result was the birth of an independent state, which could not even be called a people-state, because of the absence of a civil society. The state became the surrogate for the nation, the fragments of which were held together through perusasion as well as through brutal coercion. The congress because of its diverse composition, had to be a statist party. This suited the needs of big capital and large farmers initially.  When state intervention in the economy was not necessary to big capital, the significance of Congress began to decline. The Hindutva strand of the nationalist movement, that had become irrelevant to the independece movement because of its collaboration with the British had persisted with organisational expansion and propaganda. With the decline of the congress Hindu fundamentalism prospered. The misery of the people hightened by liberalism found cathertic release in the violence against the other - the muslim. The figure of Modi assumed special attraction as a fetish object. The Modi regime is also attractive to big capital because of its ability to impose anti-people measures with impunity because of the disjuncture of popularity of the government from its performance.

বাংলা উপন্যাসে লোকজ উপাদান কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে তা আলোচনায় প্রবেশ করার আগে লোকজ উপাদান সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ইংরেজি ‘Folklore’ –এর সর্বজন গ্রাহ্য বাংলা প্রতিশব্দ ধরা হয় ‘লোকসংস্কৃতি’। তবে ‘Folk’ এর প্রতিশব্দ ‘লোক’ শব্দটি গৃহীত হলেও ‘lore’ এর প্রতিশব্দ রূপে দেখা দিয়েছে— কলা, কৃষ্টি, যান, চর্যা, বার্তা, ঐতিহ্য প্রভৃতি। আর লোকজ উপাদান বলতে আমরা এই লোকসংস্কৃতিকেই বুঝব। অর্থাৎ লোকজ উপাদান হল লোকসংস্কৃতির উপাদান। এই লোকজ উপাদানকে বুঝতে লোকসংস্কৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে। যথা— ক) বস্তুকেন্দ্রিক বা বস্তুযুক্ত লোকসংস্কৃতি এবং খ) অবস্তুকেন্দ্রিক বা অবস্তুযুক্ত লোকসংস্কৃতি।
ক) বস্তুকেন্দ্রিক বা বস্তুযুক্ত লোকসংস্কৃতি (Material Folklore) : লোকজ জীবনে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত বস্তুসমূহকেই এই পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এই উপাদানগুলির মধ্যে যে বিষয় বিরাজমান তা হল— লোকযান, লোকঅস্ত্র, লোকযন্ত্র, লোকশিল্প, লোকপরিচ্ছদ, লোকপ্রযুক্তি, লোকখাদ্য, লোকঔষুধ, লোকাভরণ, লোকপানীয়, লোকতৈজস ইত্যাদি।

This book examines the new anti-establishment parties electorally succeeding at the expense of their established counterparts and argues that party organization matters for their electoral success.

It explores a relationship between these parties’ electoral success and their party organization. Using a framework to explain the role of organizational features such as local party branches, party membership, and party elites in this process, it reveals how they help parties to be more stable, cohesive, and legitimate; a state that facilitates better conditions for electoral success. It also shows that control over party organization is achieved partially by the existence of a corporate network associated with party leaders’ businesses.

This book will be of key interest to scholars and students of party politics and political parties, anti-establishment politics, and Eastern European politics.

মলয় রায়চৌধুরীর ‘নখদন্ত’ – ডকুমেন্ট অব এ ট্র্যাজেডি টু বি কন্টিনিউড : শর্মিষ্ঠা ঘোষ

টাইপ এ : লেখক কাহিনী বুনবেন মনগড়া কিংবা তাও ঠিক নয় , কতগুলো জেনারেল হ্যাপেনিংস বা প্রোবাবিলিটির ওপর । চারপাশের বস্তু ও প্রাণীজগৎ কে ঘিরে ।
টাইপ বি : লেখক ডিটো ভাষ্য দেবেন সাংবাদিকের নির্লিপ্ততায় যা ঘটেছে ও ঘটছে চেনাজানা চৌহদ্দিতে ।
টাইপ সি : লেখক সত্যতথ্য ভিত্তিক ও গবেষণালব্ধ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংসকে বীভৎস বা করুণ রসে জারিত করে নাটকীয় ভাবে পরিবেশন করবেন ।
টাইপ ডি : এইসব উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের সম্মেলনে লেখক কথাকারের ভণিতা সহ পেশ করবেন । কতগুলি তথ্যের আগে পিছের কার্যকারণ তুলে ধরবেন । সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং নিজস্ব ধ্যান ধারণা বিশ্বাস পছন্দ অপছন্দের আলোতে বিশ্লেষিত একটি বিশ্বাসযোগ্য উপস্হাপনা সেটি ।
মলয় রায়চৌধুরীর সম্পর্কে কিছুই না জেনে পড়তে বসেও মামুলি পাঠক চতুর্থ শ্রেণীভুক্ত করবেন তাঁকে ।
“নখদন্ত” শুরু ও শেষ হয় ডায়েরির মেজাজে , তার সাথে জুড়ে যায় কথকের নিজস্ব লেখন জগৎ , পর্যালোচনা , কাহিনী প্রসঙ্গে উঠে আসে রাজ্য রাজনীতি , অর্থনীতি , সমস্যা , অন্যায় , বঞ্চনা , শ্রমিক শ্রেণী বিশেষত পাট শিল্পের সমস্যা জনিত ঘটনাবলী । সত্য ঘটনা নির্ভর এক নিটোল গল্প যা একইসাথে একজন গবেষকের কাছেও যথেষ্ট আদরণীয় হতে পারে দ্বিবিধ কারণে । প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার সাবটেক্সট , পোস্টমডার্নিজম ইত্যাদি নিয়ে আগ্রহীরা আবার পাশাপাশি একটি উচ্চমানের গবেষণালব্ধ তথ্যাবলী সমৃদ্ধ লেখা হিসেবে ।
সাধারণ ফিকশান ক্যাটেগরিতে ফেলতে গিয়ে এ লেখা এ কারণেই বাঁধে । আবার পাঠক ‘মামুলি’ এই কথা পলিটিক্যালি কারেক্টনেসের উর্দ্ধে উঠে বলা , কারণ জ্ঞানত এক শ্রেণীর পাঠক বিদ্যমান যারা বিস্তর তত্ত্বকথা ঠোঁটস্হ করে একটি টেক্সটের কলকব্জা ঢিলে করে অমুকবাদ তমুকবাদ কপচান । লেখক যখন ছকভাঙা কিছু দিয়ে জোর ধাক্কা মারতে চাইছেন তিনি এমন জ্ঞানপাপী পাঠককেই অধিক সমাদর করে থাকেন , তাতে মামুলি পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়ার বিস্ময়বোধে বা ইস্থেটিক প্লেজারে কোন ঘাটতি পড়ে না । আর্টস ফর আর্টস সেক কথাটি তারা সিংহাসনে বসান বেশ নমো করেই । নৈকট্য না থাকুক , স্বীকৃতির অভাব তাদের শত্তুরেও খুঁজে পাবে না ।
তো , আমি এহেন গোলা পাঠক মলয় রায়চৌধুরী পাঠ করেছি আমার মত করেই , ডিকনস্ট্রাকশন করেছি আমার সাধ্য অনুযায়ী , ইউনিটি অব টাইম প্লেস অ্যাকশান মান্য করল কি করল না ভাবা বাদ দিয়ে বা ফার্স্ট পার্সন ন্যারেটিভের একটি বিপজ্জনক প্রবণতা , নিজ মতবাদের প্রতিফলন কাহিনী থ্রেডকে প্রভাবিত করতে পারে এই আশঙ্কা সাময়িক ভাবে সরিয়ে রেখে । রোমান এ ক্লেফ না বিলডানসরোমান তর্কাতর্কির পরেও যে সংবেদনশীলতা ভিখারি পাসওয়ান কেসের আগে পরে একটি তৃতীয় নয়নের উপস্হিতি মহাকালের দৃষ্টি না এড়ানো নেমেসিস হয়ে আসে তা অস্বীকার করা যায় না ।
পাট শিল্পাঞ্চলের এ টু জেড গুলে খেয়ে কঠোর পরিশ্রমের তথ্যকে শিল্পসম্মত উপস্হাপনের তোয়াক্কা না করেই জিরো নম্বর হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য নরম একটা দুঃখবোধ মধ্যবিত্ত বাবুপাঠকের গালে বেশ ঠাস ঠাস করেই লাগে । জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের পাশাপাশি সুখি সুখি খাঁচার তোতার জীবন থেকে একেবারে আছড়ে পড়ে শব্দবানে । কোন রেয়াত নেই বিদগ্ধ জননেতাদের । কোন ছাড় নেই ডান বাম মধ্যবর্তী মতবাদের ধ্বজাধারীদের । কারণ পাটশিল্পের অবনমনের জন্য পাটকল ও উৎপাদক অঞ্চলের অবস্হানগত বিপ্রতীপ যতখানি দায়ী কোন অংশে কম দায়ী নয় রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্যালাসনেস ও তাদের ডানহাত বাঁহাত মুষ্টিমেয় চালিকাশক্তি বনিক সম্প্রদায় । ক্রমাগত হাতবদল হওয়া মালিকানা , লিজ , পি এফ , গ্রাচুইটি মেরে পালিয়ে যাওয়া মালিক , কাঁচামালের নয়ছয় , কমিশন লোভী মধ্যস্বত্বভোগী , পচাগলা ট্রেড ইউনিয়ন লিডারশিপ , ঘুষের চক্করে ইমান বেচার দল , শুধু পাট কেন চোখ বুলালে চা শিল্পেও একইপ্রকারে বর্তমান ।
দু একটি ফেনোমেনা বাদ দলে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে এ ছবি চেনাই লাগবে । সময়টা আগে পিছে যেদিকেই গড়াক , শাসনে নীল লাল যে অবতারই থাকুক না কেন , বনাঞ্চলের অধিকার নিয়ে লড়াই করা লীলা গুরুং , ন্যায্য মজুরীর দাবীতে উত্তরকন্যা অভিযানে যাওয়া চা শ্রমিক , রেশন , পি এফ , গ্রাচুইটি হজম করে ফেলা বাবুলোগ , শাসকের ভয়ে টেবিলের নীচে লুকোন পুলিশ কোন জাপানী তেলে শ্রমিকদের শান্তিপুর্ণ আন্দোলনে ক্ষ্যাপা কুত্তা হয়ে ওঠে আজ ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে বা সময়ের ব্যবধানে মলয় রায়চৌধুরী এবং একটি গোলা পাবলিকের অনুভবকে একই বিন্দুতে দাঁড় করায় ।
কিন্তু দিন শেষে তিনি মলয় রায়চৌধুরী । তাঁর প্রকাশ, তাঁর চলন, তাঁর ধার-ভার-নীরীক্ষা আলোচনাযোগ্য হয়ে ওঠে যথাযোগ্য কারণেই । ঘটনাচক্রে কাহিনীর সময় থেকে আজ পর্যন্ত অনেক জল গড়িয়ে গেছে , পাঠক দেখে ফেলেছে একের পর এক লোকোমোটিভ কারখানা , কার ফ্যাক্টরিস, ছোট বড় কাপড়ের কল , কাগজ কল , ইস্পাতের যন্ত্রাংশ , রং , নানাবিধ ফুড প্রোডাক্ট তৈরীর কারখানা লালবাতি জ্বেলেছে , গনেশ উল্টেছে এবং লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ক্ষেত মজুর , জনমুনিষ , কুলি , ভিখিরি , চোর , ডাকাত , দেহোপজীবী , ফেরিওয়ালায় পরিণত হয়েছে , নিজ রাজ্য ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে দিল্লি , মুম্বাই , কেরল , অন্ধ্রপ্রদেশ এমনকি একটি দীর্ঘকালীন রাজত্ব করার কারণে ঘুণ ধরে যাওয়া শাসনব্যবস্হার শেষে নব্যজমানা শুরু হয়ে প্রায় এক দশক হতে চলেছে তখনও বিহার থেকে আগত , ঝাড়খন্ড থেকে আগত একসময়ের কাজহারানো পাটকল শ্রমিকদের কিস্যা অনেকটাই গা সওয়া লাগে । থার্ড ফোর্থ ফিফত ডিগ্রী পুলিশি টর্চারের সামনে আজ যখন আন্দোলনরত শিক্ষিত বেকারও অহরহ পড়ে সেই বিস্ময় সেই নৃশংসতা জনিত শিহরণ অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যায় ।
তবু টাইম ডকুমেন্টেড এ লেখা তার নিজস্ব গুরুত্ব বজায় রাখবে ঐতিহাসিক কারণেও বটে । “ইতি শ্রী শ্রী পশ্চিমবঙ্গের সাতকাহন শেষ হইল ” , না , আসলে শেষ হয় নি , কারণ একটা পিরিয়ড মাত্র শেষ হল , তাও আংশিক কারণ গোটাটাই অন্ধকারের চলাফেরা হতাশা আর ক্রোধজনিত মনোলগ , যা হারানো ডায়েরির পাতায় ফিরে আসে । শেষ হয় না , কারণ লেখক বর্তমান , শেষ হয় নি তাঁর দেখা শোনা । শেষ হয় নি পশ্চিমবঙ্গীয় কিস্যা ।
পালা বদল হয়েছে মাত্র , বদলায় নি কিছুই । যে ভাষ্যের কোন চরিত্র বলে , ” খ্যাংরা কাঠির ওপর আলুর দম মার্কা এক নেতার জন্যেই পশ্চিমবঙ্গে তিরিশ বছর কম্পিউটার ঢুকতে পারেনি । তাই আজ মাথায় করে টাইপরাইটার বয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে , ” সে আসলে থেমে গেছে সেই নেতার জমানা শেষ হবার বহু আগেই । নোট আছে ডায়েরির পাতায় পাতায় যেমন থাকে । যেন মুখবন্ধ । কী কেন তার কৈফিয়ত । ” 1.ইনভেন্ট আইডিওলজি টু সাপোর্ট অ্যাকশান । 2. ব্লেমিং আদার্স অর ইভেন্টস নট রিলেটেড টু ইউ ফর ইয়োর মিজারি ইজ এ ফয়েল অব ইয়োর উইথড্রল ফ্রম দি ওয়ার্লড । … 4. কালচার ডাজ নট সিম্পলি রেসপন্ড টু পাওয়ার , ইট শেপস দি মরাল ওয়ার্লড ইন হুইচ পাওয়ার ইজ এক্সারসাইজড অ্যান্ড এনকাইনটার্ড । 5. সিডাকটিভ ডিগ্রেডেশান অব নলেজ । রিভাইভ ইয়োর প্রিডিলেকশানস । 6. অল পলিট্কাল অ্যাকশান গেটস সেল্ফ কনট্যামিনেটেড ।” যেন কোন বর্ণনার প্রেক্ষিত ও বর্ণনাকারীর নিউট্রালিটিটা ঘোষণা করা বেশ জরুরী । ”
দি পাস্ট শুড বি অলটার্ড বাই দি প্রেজেন্ট অ্যাজ মাচ অ্যাজ দি প্রেজেন্ট ইজ ডায়রেক্টেড বাই দি পাস্ট । মেমরি অবস্কিয়র্স ট্রুথ ।” যেখানে তিনি লিখছেন দেয়াল লিখনের কথা , ভুল হাতে পড়ে একটা স্বপ্নের অপমৃত্যুর পর নির্মম রসিকতা ,” কমরেড তুমি আর গাঁড় মারবে না ? এখনও অনেক …ইয়ে …রয়েছে বাকি ।” হয়তো তখন ভাবা যায় নি দুহাজার আঠেরোর পশ্চিমবঙ্গে আরো অনেক নতুন নতুন শিল্পে লালবাতি জ্বলবে , কম্পিউটার আর ই জমানার মানুষও সমানভাবে খিস্তি করবে নতুন কোন লিডারকে , সমান প্রযোজ্য হবে , “
মিলের শপফ্লোরে জঙ্গল , দেয়ালে দেয়ালে কত সে অশথ গাছ । রাত্তিরে তোলাবাজ আর মস্তানদের অঙ্গনওয়াড়ি । আলোর বালাই নেই । লাখ লাখ ট্যাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি । লাইন কাইট্টা দিসে । বাইরে দেয়ালে আর স্লোগান নাই । ঘুঁটের পর ঘুঁটের পর ঘুঁটে , তারপর ঘুঁটে , আবার ঘুঁটে । আমাগো ন্যাতা সাইনবোর্ড লয়্যা অননো মিলে গ্যাসেন গিয়া … কবে যে মিলের জমিডা বিক্রয় হইব ।” কোথাও কি বদলেছে বিরোধী বা প্রতিবাদীদের ওপর শাসকদলের উস্কানিতে পুলিশি নির্যাতনের ইতিবৃত্ত ? এখনো কি হরহামেশা এসবের পর কর্তাদের নেতাদের বলতে শোনেন না ” ওই ঘটনার কতা আমার জানা নেই । তবে খোঁজ নিচ্ছি ” ? নির্বাচন চলাকালীন পোলিং অফিসার কে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে রেল লাইনে ফেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালাতে দেখেন নি সম্প্রতি ? সেন্ট পলস এর ফেস্টে হাজার হাজার টাকা তোলা তুলছে না ইউনিয়ন ? অধ্যাপক , শিক্ষকদের গান পয়েন্টে হেনস্হা ঘটছে না প্রায় রোজ ? ঘটছে । কারণ রাজ্যটার নাম যাই হোক না কেন , কোন জায়গাতেই ফর দ্য পিপল , অব দ্য পিপল , বাই দ্য পিপল কোন ব্যাপার নেই , সংবিধানে সে যাই দাবী করা হোক না কেন ।
তাই মলয় রায়চৌধুরীর রাগ ক্ষোভ ব্যঙ্গ যতই পার্টিকুলার আইডিয়ালস বা লাইন অব পলিটিক্সকে আক্রমণ করুক না কেন , কোন আইডিয়াল রিপাবলিক বা ইউটোপিয়া খুব রিজনেবল চাওয়াও নয় । তাই পিরিয়ড পিস হিসেবেই বা শুধু বলি কেন এই টেক্সটকে , মাৎস্যন্যায়ের সর্বলক্ষণ বুকে করে চলা এক মায়া সভ্যতা সে নিজেকে টেনে নিয়েই চলে , ক্ষইতে ক্ষইতে , না ফুরোতে ফুরোতে , কাংগাল চামার বা সত্য আচার্যরা আজও নাম বদলে ধাম বদলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলেছেন । আঠেরোটা ইউনিয়ান সেদিন যে সর্বনাশ করেছে আজ একটিমাত্রই কাফি । চাকরির পরীক্ষা দিতে জড়ো হওয়া টাইপরাইটার মাথার বেকারদের মহামিছিল শুধু বদলে গেছে কম্পিউটার জানা বেকারদের আত্মহত্যায় , ঘুষ দিতে না পারার আর লিডার ধরতে না পারার ব্যর্থতায় । হাসপাতালের ঘোষণা করা মরা বাচ্চা আজও দাফন করতে গেলে নড়ে ওঠে , মানুষের হাসপাতালে কুত্তার ডায়ালিসিস হয় , কোটি কোটি টাকার ওষুধ নয়ছয় হয় , পোড়াতে হাসপাতালের পর হাসপাতালে আগুন ধরানো হয়,  আজও জঙ্গমহল হাসছে বিজ্ঞাপনের পেছনে, না খেতে পেয়ে শবররা মরে যায় , নতুন নতুন কলকারখানা বন্ধ হয় রোজ আর সেসব সারানোর গুণিনরা বিষধর । ” তারা যত বিষ ঝাড়েন তত বিষ বাড়ে । কত – কত বক্তৃতা আর ভাষণ ঝাড়েন সেসব গুণিনরা , গম্ভীর মুখে , নাক ফুলিয়ে , যন্তরের মতন বকরের পর বকরের পর বকর ।”
কই কিছুই তো একচুল বদলায় নি , সাদা ধুতি গিয়ে সাদা শাড়ি এসেছে , সর্বহারার নেতার বদলে হাওয়াই চটির নেত্রী এসেছে , পশ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা’ নাম না রেখে “রসাতল” রাখার দাবীটি মোটেও বদলায়নি । সব ‘নখদন্ত’ নিয়ে বিদ্যমান । মলয় রায়চৌধুরী যদি প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার ঐতিহ্য এখনো বর্তমান রেখে থাকেন আমরা নিশ্চয়ই এর একটি সিকুয়েল আশা করতে পারি !

গত দশকের শুরুর দিকে খুবই হালকা চালে কিছু বিজ্ঞাপন রিকশাচিত্রে দেখা যায়। যাকে বিশেষ করে শনাক্ত করার মতো কোনো কারণ ঘটেনি। বিজ্ঞাপনগুলো মূলত ছিল কাগজের। কাগজের বিজ্ঞাপন ব্যক্তিগত বাড়ির দেয়ালে হঠাৎ করে সেঁটে চলে যাওয়ার মতো বিষয় ছিল সেটি। ২০১৫ সালের দিকে বিজ্ঞাপনের এই প্রবণতা লেখকের কাছে বিশেষভাবে চোখে পড়তে শুরু করে। বিজ্ঞাপনের এই প্রকরণ নিয়েই লেখাটির সূত্রপাত।

This text builds on existing debates on types of populism in contemporary political science literature. Our premise is that with new types of populism emerging in the debate, and with the significantly increasing number of texts dealing with populism, the types are being hollowed out. Using a dataset consisting of a total of 539 texts published between 2011 and 2020 containing the keyword populism and using a machine-learning based classification model of concordance data, we show that (1.) ambiguities and confusions among the different types of populism become more prominent over the study period, categories become emptier and their usefulness for classification decreases, and (2.) the only stable and consensually defined type, in the long run, is right-wing populism. We conclude by recommending to depart from creating classifications of types of populism based on specific ideological or non-ideological features and to keep these levels (populism and other features) - within analysis - separate.

২০১৮ সাল।  জানুয়ারির ১২ তারিখ। প্রদীপদার (আমার শিক্ষক প্রদীপ বসু) সঙ্গে সেদিনই আমার শেষ দেখা। ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপ-এর একটা প্রোগ্রাম-এ। বালিবার এবং ওয়ালেরস্তেইন-এর একটা বই-এর উপর আলোচনায়। সেদিন ভাবতেও পারিনি ওটাই আমাদের শেষ দেখা। এখনও ভাবতে পারছি না আর কোনোদিন দেখা হবে না। রাতে রণবীরদার এবং সি.আর.জি-র অন্যদের সঙ্গে ডিনার-এর পর প্রদীপদা আর আমি একসঙ্গে বাড়ি ফিরলাম – বেহালা-তে।  গাড়িতে প্রদীপদার সঙ্গে অনেক কথা হল। অনেকদিন পরে। কথার বিষয় ছিল ফুকোর শেষ জীবনের লেখা নিয়ে প্রদীপদার ভাবনা। প্রদীপদার পড়াশুনা। হিস্ট্রি অব সেক্সুয়ালিটি-র প্রথম খণ্ড আর দ্বিতীয় খণ্ডের মধ্যে কেন আট বছরের ফারাক? প্রথম খণ্ড শেষ করে ফুকো কেন থেমে গিয়েছিলেন? বা আটকে গিয়েছিলেন? আত্ম-জিজ্ঞাসাটা কোথায়? কী আকার নিয়েছিল সেটা? তবে কি ফুকো-র পথচলায় আছে কোনও অপ্রত্যাশিত বাঁক – প্রথম এবং দ্বিতীয় খণ্ডের অন্তর্বর্তীতায়? কী সেই অপ্রত্যাশিত বাঁক? এই অপ্রত্যাশিত বাঁক-ই কী নির্ধারণ করছে ফুকোর প্রথম জীবনের এবং “শেষ জীবনে”-র লেখার মধ্যেকার পার্থক্যকে?   

শেষ জীবনের লেখার রূপকটা এই লেখায় সক্রিয়। প্রদীপদা মিশেল ফুকোর শেষ জীবনের লেখাগুলো পড়ছিলেন। আমি পড়ছি প্রদীপদার শেষ জীবনের একটা বই – মিশেল ফুকো-র শেষ জীবনের লেখাগুলোর উপর। শেষ জীবনের তাত্ত্বিক অনুরণনগুলো কোথাও যেন কথোপকথনে চলে আসছে। আর সেই কথোপকথন থেকে উঠে আসছে অগণন নতুন প্রত্যয়। আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ সমাজজীবনের ব্যাপ্ত এবং “গভীরতর খ্রিস্টীয়করণ”-এর তত্ত্ব তেমনি এক প্রত্যয়। এই নতুন উপলব্ধি সম্ভবত ফুকোকে নাড়িয়ে দিয়েছিল শেষ জীবনে। তবে কী খ্রিস্টীয় মধ্যযুগের এবং ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিকতার মধ্যে একধরনের নিরবছিন্নতার বা অবিচ্ছিন্নতার আন্দাজ পাচ্ছেন ফুকো? আমরা এতকাল ভেবেছিলাম খ্রিস্টীয় মধ্যযুগ এবং ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিকতার মধ্যে একটা চুড়ান্ত এবং নিষ্পত্তিমূলক ছেদ আছে। তবে কী সেই ছেদ-এর ধারনাটা ভুল? ঠিক যেমন ফুকো-র হাত ধরেই আমরা দেখেছি যৌনতার উনিশ শতকীয় অবদমন-এর ধারনাটা ভুল ছিল। ফুকো দেখিয়েছিলেন হিস্ট্রি অব সেক্সুয়ালিটি-তে যে অবদমনের পরিবর্তে উনিশ শতকে যৌনতার প্রশ্নে যেন একধরনের নিরন্তর কথকথা; বাচনের এক বিরাট ব্যাপ্তি; বয়ানের বাড়বাড়ন্ত। অর্থাৎ, অবদমনের ধারনাটা ভুল। ছেদ-এর ধারনাটাও কী অনুরূপভাবে ভুল? নাকি ছেদ-এর ধারনাটা ভুল ছিল না। সীমিত ছিল। শুধু ছেদ-এর ধারনাটা দিয়ে পশ্চিমের অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। ছেদ-এর ধারনার পাশাপাশি লাগবে নিরবচ্ছিন্নতার বা অবিচ্ছিন্নতার একটা ধারনা। এই দুই ধারনার পরম পারস্পরিকতায় যেন আকার পাচ্ছে পশ্চিমের অভিজ্ঞতা।

Shambhunath De was a scientist from Calcutta, who graduated from the Calcutta Medical College. His discovery can be described as step further where Robert Koch stopped at in discovering the bacteria causing the fatal disease cholera in the 1860s. After about hundred of Koch's discovery, De proved internationally that NOT the bacteria as such the disease was caused by the enterotoxins released by it. With meager resources he did this path breaking discovery which has been influencing researches on cholera even today.
He was refused the Nobel Prize and did not receive any kind of recognition in his lifetime be it internationally or in India. This paper aims at digging into the details of his discovery and according him the due honor.

As a result of climate change, various natural disasters-droughts, floods, earthquakes, sea level rise, river erosion, ozone layer temperature rise, global average temperature rise, heavy rains, cyclones, lightning etc. are increasing. Over the last few years, the amount of lightning has been increasing. Damage to property, animals, and human life due to lightning has increased more than before. In 2016, the government declared lightning as a 'disaster' in view of the number of lightning strikes and death rates in different areas of the country. Today, the environment is being polluted to a great extent due to the cutting of trees and construction of multi-storied buildings, vehicle fumes, excessive use of polythene, factory fumes, year-round construction work, and river filling. Excessive pollution is causing hot dust particles to rise in the air, creating a favorable environment for lightning. According to meteorologists, one of the causes of lightning is rising temperatures. A 1-degree rise in temperature increases the risk of lightning by at least 12 percent. According to the information from the Ministry of Disaster Management and Relief, lightning occurs mainly during the 9 months of February to October in Bangladesh. More than 80 percent of lightning strikes occur on agricultural or non-agricultural open land. Experts say that one-fourth of the people who die due to lightning in the world are in Bangladesh. Bangladesh has the highest number of deaths due to lightning in the world. According to the Ministry of Disaster Management and Relief, 29 thousand 951 people have died due to lightning from 2011 to this year. Lightning has increased at an alarming rate in recent times. The good news is, initiatives have been taken to install arrestors or lightning protection devices to reduce deaths due to lightning. The government is trying to reduce the damage by installing lightning rods in hotspots where lightning can strike. That is why the Ministry of Disaster Management has allocated Tk 19.5 crore in the fiscal year 2021-2022.

The partition of India on the basis of religion in 1947 created internal diaspora bubbles within the countries of the region. Thousands of Muslims from India left their homeland and came to Pakistan and Bangladesh. Similarly, thousands of Hindus from this region migrated to India. Many others moved to Europe and America. All non-Bengalis who came to Bangladesh from Uttar Pradesh, Maharashtra, Gujarat and Calcutta, including the Indian state of Bihar, on the basis of Hindu-Muslim riots and the partition, are identified in Bangladesh as Biharis.

In the early '60s, Bengali poet Malay Roychoudhury co-founded Hungryalism, an artistic movement in reaction to literary and political authority. The former British Indian Empire at the time continued to face upheaval and sectarian violence following the Partition of 1947, which created the independent countries of Pakistan and India, displacing approximately 15 million people. In 1963, Roychoudhury hosted Allen Ginsberg in Patna, India, after which the Hungryalists translated their own poems for small magazines in the United States, including City Lights Journal (Numbers 1-3, 1963-1966), where I first encountered them. One year after Ginsberg's visit, Roychoudhury was arrested with ten comrades and charged with obscenity. The Hungry Generation, at least in the eyes of the law, was disbanded.

Conspirituality—the merger of conspiracy theories and spirituality—has attracted significant global media and scholarly attention during the COVID-19 pandemic. This article expands upon the ‘two core’ conspiritual convictions proposed by Ward and Voas that ‘1) a secret group covertly controls, or is trying to control, the political and social order, and 2) humanity is undergoing a “paradigm shift” in consciousness’. We identify an additional ten key convictions central to (con)spirituality, including those that result in vaccine hesitancy and/or refusal. We chose to bracket the ‘con’ to problematize the term, and to encompass a wider spectrum of spiritual beliefs and practices, including those that are non-controversial, those that may be deceptive cons, and/or those that draw on conspiracy theories. The article presents an analysis of these twelve (con)spiritual convictions, focusing on a sample of ‘Aussie Warriors’ selling (con)spirituality, and also on influencers attempting to c...

The traditional 16-step puja is called the Shodashopachara Puja in Sanskrit — shodasha meaning 16, and upachāra meaning offering given with devotion. It can be performed for an Ishta Deva in a fairly short time period on a daily basis as a spiritual practice (sādhana) fostering discipline and devotion

নারীর প্রকৃত অবস্থান কি এই সমাজে, কী তার তাৎপর্য আর কী বা তার উত্তরণের সম্ভাবনা—বিদেশি তাত্ত্বিকদের পাশাপাশি ভারতীয় এবং বিশেষভাবে বাঙালি চিন্তাবিদেরা সে সব ভেবেছেন। উনবিংশ-বিংশ শতকের সামাজিক ইতিহাস পর্যালোচনা করে নারীর সামাজিক অবস্থান সংক্রান্ত যেসব তথ্য আমরা পাই, আশাপূর্ণা দেবী সেইসব তথ্যকেই কাহিনী ও জীবনের রসে জারিত করে ‘সত্যবতী’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুল’-এর মধ্য দিয়ে নারী মুক্তির চেতনাকে আত্মমর্যাদার দর্শনে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন এবং তাঁর এই ত্রয়ী উপন্যাস উপস্থিত করেছেন—‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘বকুলকথা’।

This working paper presents the findings of quantitave and qualititave research into populist communication on Facebook. Specifically, we look at how populist politicians from all across Europe used Facebook in their campaigns for the European Parliamentary elections in May 2019 and compared this with a posts from July 2019. We start the paper with sections on research design and then outline the importance of social media for populist political communication. From here, we present the findings of our comparative research. We found that the use of Facebook varied widely around the bloc. Some countries – Spain, Italy, the UK, France, and Poland – display a more widespread use of social media and with more complex usage, whilst others, such as Lithuania, have a low usage level. As a result, we maintain that there is no, one online populist strategy currently in use. Instead, the frequency, tone and topic of social media usage by populist actors differs from country to country, actor t...

Criticizing mainstream media for their ‘lies’ or ‘fake news’ has become a common political practice on the radical right. Further empirical research is needed to better understand the intricacies of these attacks on media, in particular for the way they relate to criticism of the political system as a whole and to matters of political representation. How do radical right actors construct a sense of political misrepresentation through their critique of media, and how does this allow them to make representative claims? This is what we explore in this article through a discourse analysis of the Flemish radical right youth movement Schild & Vrienden. Drawing inspiration from constructivist theories of representation, we explore the entanglement in empirical practice between two dimensions of representation: 1) between its literal meaning (as ‘portrayal’) and its political meaning (as standing or speaking for), and 2) between representation and misrepresentation. With our analysis, we sh...

This working paper presents the findings of quantitave and qualititave research into populist communication on Facebook. Specifically, we look at how populist politicians from all across Europe used Facebook in their campaigns for the European Parliamentary elections in May 2019 and compared this with a posts from July 2019. We start the paper with sections on research design and then outline the importance of social media for populist political communication. From here, we present the findings of our comparative research. We found that the use of Facebook varied widely around the bloc. Some countries – Spain, Italy, the UK, France, and Poland – display a more widespread use of social media and with more complex usage, whilst others, such as Lithuania, have a low usage level. As a result, we maintain that there is no, one online populist strategy currently in use. Instead, the frequency, tone and topic of social media usage by populist actors differs from country to country, actor t...